রাতভর অভিযানের পর ডাকসু নেতার মন্তব্য-
”জিনিসটা আসলেই এলার্মিং’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১৬, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের আশপাশ এলাকায় এক অনুসন্ধানী অভিযান চালান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জোবায়ের। পরদিন শনিবার সেই অভিযানে বেরিয়ে আসা বেশকিছু তথ্য তিনি জানিয়েছেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
সেই রাতের অভিযান শেষে ডাকসুর এই নেতা একটি বিষয় দেখে সেটিকে ‘অ্যালার্মিং’ বলে মন্তব্যে করেছেন। কিন্তু কি সেটি? সেই রাতের অভিযানে কি পেলেন ও দেখলেন ডাকসুর এই নেতা?
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর পোনে ১২টার দিকে জোবায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন।
পাঠকদের সুবিধার্ধে ডাকসুর এই নেতার সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
”কাল রাত বারোটা থেকে প্রায় ফজর পর্যন্ত আমি ক্যাম্পাসের আশপাশ এলাকায় একটা অনুসন্ধানী অভিযান চালিয়েছি। বেশ কয়েকটা স্পটে ভয়াবহ রকম দে'হব্যবসা চলে।”
”দুইটা গ্রুপ এদের, একটা গ্রুপ নারী আরেকটা গ্রুপ ট্রান্স। প্রত্যেকটা স্পটেই কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি সময় নিয়ে। নারীদের মধ্যে যারা এই কাজ করে তাদের অনেকেরই পরিবার আছে। পরিবার জানে তারা চাকরি করে বিভিন্ন জায়গায়।”
”এই পতিতাবৃত্তির সাথে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও জড়িত। কমিশন খেয়ে মদদ দেয় তারা। কয়েকজনের তথ্য নিয়ে এসেছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিবো শীঘ্রই।”
”সবচেয়ে এলার্মিং ব্যাপার হচ্ছে ট্রান্স নিয়ে। এদের মধ্যে একজনের ইংরেজি এক্সেন্ট খুব সুন্দর। জিজ্ঞেস করে জানলাম সে একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবিতে অনার্স করছে। বিলাসবহুল জীবন তার। তার সাথে কথাবার্তা বলে সামারি যেটা পেলাম - তার মতো এমন প্রস্টিটিউটের সংখ্যা প্রচুর। সার্জারী করে শরীরটা মেয়েদের মতো বানিয়ে দেহব্যবসায় নেমে পড়ছে বহু ছেলে/হিজড়া। দিনের আলোয় এদের অনেকেই আবার বিভিন্ন ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্ট, এমপ্লয়ি।”
”জিনিসটা আসলেই এলার্মিং। মানুষজন যদি এখনো এই বিকৃতির ব্যাপারে সচেতন না হয়, প্রতিরোধ গড়ে না তুলে সামনে ভয়াবহ যুগ আসতেছে।”