শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

| ২ কার্তিক ১৪৩২

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩:৩০, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৫২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ

চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গভর্নর ভালভ স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট ১ নম্বর ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়ছে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদিত ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। এটি চালু রাখতে দৈনিক ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা লাগত। তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। 

এদিকে, সংস্কারকাজ চলায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ৪ বছর ৮ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ। ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম হতো।

বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মে. টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আজ পর্যন্ত একই সঙ্গে কখনও চালানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার মে. টন কয়লা মজুত রয়েছে। প্রতিদিন খনি থেকে উত্তোলনকৃত ৩ হাজার মে. টন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে মেরামত কাজ চলছে। আশা করছি, এক সপ্তাহ পর তৃতীয় ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরবে। ইতিমধ্যে আমরা চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

অন্যদিকে, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-পার্বতীপুর জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জহুরুল হক বলেন, আগামীকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা-২টা পর্যন্ত পার্বতীপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর সাবস্টেশনে মেরামত কাজ চলবে।

পার্বতীপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। ১৭ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও পাওয়া যায় মাত্র ৮/৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন