শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

শ্রমিক বিক্ষোভ এবং অস্থিরতা

শনিবার থেকে বন্ধ চট্টগ্রামের প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০২:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

শনিবার থেকে বন্ধ চট্টগ্রামের প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) শ্রমিক বিক্ষোভ এবং অস্থিরতার জেরে দেশের অন্যতম পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের প্যাসিফিক গ্রুপ তাদের অধীনে থাকা ৮টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে এক অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ১৮ অক্টোবর শনিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো হলো:

প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ারকওয়্যারস, ইউনিভারসেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন। বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও কাজে না ফিরে শ্রমিকরা ১৫ ও ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলায় জড়ান। কর্তৃপক্ষ এই আচরণকে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে আখ্যায়িত করে। এই প্রেক্ষিতে কারখানার পরিবেশ অচল ও অস্থির হয়ে ওঠায় মালিকপক্ষ কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ ব্যাপারে প্যাসিফিক গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার সুহৃদ চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার প্রথমে সাময়িক ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাতে চূড়ান্তভাবে বন্ধের ঘোষণা আসে।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “আমরা কারখানা বন্ধের নোটিশ পেয়েছি। শ্রমিকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা রয়েছে। বাইরে থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে ৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়, পুলিশের হয়রানির অভিযোগ তুলে তারা বিক্ষোভে নামে। এরপর ১৪ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হয় আন্দোলন। ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ আরও ব্যাপক রূপ নেয় এবং উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও প্যাসিফিক গ্রুপের এক ইউনিটে ২২ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের জেরে সংঘর্ষ হয় এবং তখনও মালিকপক্ষ দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা মুচলেকা দিয়ে কাজে ফেরে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন