বিসিএসের নম্বর প্রকাশ-নন-ক্যাডার বিধি সংশোধনসহ ১৫ দফা প্রস্তাবনা এনসিপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩৯, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪০, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিতে ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন, বিসিএসের প্রিলি–লিখিত–ভাইভার নম্বর প্রকাশ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে এনসিপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল এই প্রস্তাব জমা দেয়।
দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
এ সময় চলমান বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধি দল জানায়, এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হলে বিসিএস প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত হবে। এতে মেধাবী তরুণদের সরকারি চাকরির প্রতি আস্থা ফিরবে।
এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা হলো-
১. ২৩ নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর যেন চিঠি ইস্যু করা হয়। ৪৩ বিসিএস থেকেই যেন সমন্বয় করা হয়।
২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পিএসসিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদসমূহে দ্রুততম সময়ে সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
৩. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বৃদ্ধিসহ চলমান সপ্তাহেই ৪৪-এর পুনফলাফল দেওয়া। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই বিসিএস চলমান থাকায় চলতি বছরেই যেন গেজেট প্রকাশিত হয়।
৪. ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান (৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম) সব বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
৫. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার যারা আগে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশ পেয়েছে তাদের যেন মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা হয়।
৬. ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরাপত্রে ভাইভা মার্কস ১০০ নম্বর লেখা। এটার আপডেট।
৭. স্বচ্ছতা রক্ষার্থে প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার মার্কস প্রকাশ করা।
৮. চূড়ান্ত নম্বরপত্র ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন ও রোল নম্বর দিয়ে দেখার সুযোগ করে দেওয়া।
৯. পুলিশ ভ্যারিফিকেশন জটিলতা হ্রাস। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে সম্পন্নকরণ।
১০. ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করা।
১১. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে স্পেশাল বিসিএসগুলোতে প্যানেল সিস্টেম রাখা।
১২. ভাইভা বোর্ডভিত্তিক মার্কসের তারতম্য হ্রাসে কয়েকটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি করা (ভাষা দক্ষতা, পঠিত বিষয়, ক্যাডার চয়েজ, সমসাময়িক ইস্যু, রাষ্ট্রীয় পলিসি, প্রার্থীর বাহ্যিক ও মানসিক যোগ্যতা ইত্যাদি)।
১৩. প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী যৌক্তিক সময়সীমা। অন্তত দুই মাস বা ৫০ দিন আগে লিখিত রোটিন প্রকাশ।
১৪. চূড়ান্ত রেজাল্ট দেওয়ার আগে ক্রস চেক করা যাতে সম ক্যাডার বা নিচের ক্যাডার কেউ না পায়। যেটা আগের কমিশন করত।
১৫. পিএসসির অধীনে হওয়া পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক (ক্লাস্টার/সমন্বিত) নেওয়া।
