পর্ণ তারকা আজিম-বৃষ্টির আদালতে দোষ স্বীকার: পাঠানো হলো কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৪৩, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের আলোচিত ‘পর্ন তারকা’ যুগল‘ দোষ স্বীকার করে আদালত জবানবন্দি দিয়েছেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার (২৬ অক্টোবর) সিআইডির এসআই মিজানুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করেন। আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা নথিবদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানা আসামি মুহাম্মদ আজিমের এবং আরেক মহানগর হাকিম মেহেরা মাহাবুব আসামি বৃষ্টির জবানবন্দি নথিবদ্ধ করেন।
আদালতে দোষ স্বীকারের পর মুহাম্মদ আজিম ও বৃষ্টি নামের এই যুগলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রুকনুজ্জামান এ তথ্য দিয়ে বলেন, জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর ভোরে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিট বান্দরবানের হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে যুগলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ পর্ন ভিডিও তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এরপর পরদিন আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
সিআইডির তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল শুধু নিজেরাই নয়, অন্যদেরও পর্ন ভিডিও তৈরিতে সম্পৃক্ত করতে প্রলুব্ধ করতো।
২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক একটি ওয়েবসাইটে তাদের প্রথম ভিডিও প্রকাশিত হয়। এরপর এক বছরের মধ্যে তারা ১১২টি ভিডিও প্রকাশ করে, যা দেখা হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশি বার।
তারা টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রচারণা চালাতো এবং অন্যদেরও এই কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাতো বলে জানায় সিআইডি।
সিআইডি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করতে না পারা এ যুগল দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এলেও অনলাইনে তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বহু ছবি পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাদের কার্যক্রম ‘সামাজিক ও নৈতিকভাবে উদ্বেগজনক’ এবং পর্নগ্রাফি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ঘটনায় সিআইডির সাইবার তদন্ত বিভাগের ইন্সপেক্টর শামীম হোসেন পল্টন মডেল থানায় পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেন।
