মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা : আরও ৪ বাংলাদেশি ২ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার চার বাংলাদেশিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াহাবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া চার আসামি হলেন— মহিউদ্দিন, সাব্বির হোসাইন, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান আহম্মেদ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ চারজনকে আটক করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) ইন্সপেক্টর কে এম তারিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
তবে মামলার মূল নথি না থাকায় সেদিন রিমান্ড শুনানি হয়নি এবং আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জানান, আসামিরা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেছিল।
সেখানে তারা উগ্রবাদী প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ ও তহবিল সংগ্রহে যুক্ত ছিল।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশিদের মধ্যে অনলাইন প্রচার চালাতো,
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম) ধর্মীয় উগ্রবাদী কনটেন্ট শেয়ার করতো এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের তহবিলে অর্থ পাঠাতো — বছরে ৫০০ রিঙ্গিত করে চাঁদা দিতো।
এছাড়াও, দেশে ফিরে উগ্রবাদী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টা চলমান ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে।
আসামিদের পক্ষে আইনজীবী গোলাম সারওয়ার বলেন,“এরা কেউ জঙ্গি নয়, বরং মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বৈধভাবে অর্থ পাঠাতো। তাদের এক সহকর্মীর ফেসবুক পোস্ট থেকেই এই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি।”
তবে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে চলতি বছরের ৪ জুলাই মালয়েশিয়ায় জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর কুমিল্লা থেকেও আরও একজন গ্রেপ্তার হন।৮ জুলাই গ্রেফতার নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ ও মাহফুজের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
