ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ রোগী, মৃত্যু ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫১, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২২:১০, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ডেঙ্গু নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১ হাজার ১৪৩ জন ভর্তি হয়েছে। এটাই এ বছর এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি। এ নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রবিবারের (২৬ অক্টোবর) বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও চারজন মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাদের বয়স যথাক্রমে ৫৮, ১৮, ৮০ ও ২৩ বছর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর চলতি অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ মাসে মারা গেছে ৬৫ জন।
এছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে , এপ্রিলে সাতজন৩ , মে মাসে ৩, জুনে ১৯, আগস্টে ৩৯ জন মারা যায়। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ৬৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৬ জন, রংপুর বিভাগে ৫১ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন এবং সিলেট বিভাগে ছয় জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৮০৩ জন।
দেশে ব্যাপকহারে প্রথম ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ২০০০ সালে। সে বছর থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গুর তথ্য সংরক্ষণ করছে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
