প্রতারণা মামলায় গ্রামীণফোনের সিইওসহ তিনজনের জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৩৭, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক কর্মীর করা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক এবং চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়েদা তাহিয়া হোসেন আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
রবিবাবর (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকির শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন।
জামিন শুনানিতে আসামিপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এহেসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতে বলেন,“বাদী রাকিবুল আজম গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী। একটি চুক্তি সংক্রান্ত বিভ্রান্তির কারণে মামলা করেছেন। আসামিরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন।”
ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য খোরশেদ মিয়া আলম বলেন,“আসামিরা দেশের প্রথিতযশা নাগরিক, আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের জামিনের আবেদন গ্রহণ করা উচিত।”
অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী রোকেয়া আক্তার রোকসানা জামিনের বিরোধিতা করে বলেন,“বাদীর আট লাখ টাকারও বেশি পাওনা ছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে চেক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নানা টালবাহানা শুরু করে। এখন বাদী তার পাওনা টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।”
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের আজ (২৬ অক্টোবর) হাজির হতে সমন জারি করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনে কর্মরত ছিলেন।
২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আউটসোর্সিং খাতে সংরক্ষিত অর্থ কর্মচারীদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় বাদীর ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর তাকে অফিসে ডেকে এনে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে বাধ্য করা হয়, তবে পরে টাকা পরিশোধ করা হয়নি। বাদীর দাবি, আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ প্রদানে টালবাহানা করে প্রতারণা করেছেন।
সব পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত আসামিদের পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী তারিখে মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
