ইনিংসেও হার ইংল্যান্ডের, জয় নিউজিল্যান্ডের দাপটে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:১৪, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হেরে সিরিজ শুরু করেছে ইংল্যান্ড। ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে স্বাগতিক কিউইরা মাত্র ৩৬.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত করে নেয়। অথচ ব্যাট হাতে একাই লড়েছিলেন হ্যারি ব্রুক—যার ইনিংস আজও ক্রিকেট ইতিহাসে স্থান পেয়ে গেছে।
মাউন্ট মাঙ্গানুইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন জেমি স্মিথ। দ্বিতীয় ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ৫ রানে ৩ উইকেট! নবম ওভার শেষেই ইংল্যান্ড ৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে।
ঠিক তখনই মাঠে ঝড় তোলেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। সুইং সহায়ক উইকেটে নিউজিল্যান্ডের দাপুটে বোলিংকে মোকাবিলা করে তিনি খেলেন ১০১ বলে ১৩৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, যাতে ছিল ১১টি ছক্কা।
তার ব্যাট থেকেই এসেছে দলের মোট রানের ৬০.৫৩ শতাংশ, যা ওয়ানডে ইতিহাসে কোনও ইংলিশ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অবদান। আগের রেকর্ডটি ছিল রবিন স্মিথের (১৯৯৩ সালে ১৬৭*, দলের রানের ৬০.২৮%)।
ব্রুকের এই একার লড়াইয়েই ইংল্যান্ড গড়েছিল ২২৩ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ। প্রথম সাত ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। লুক উডের সঙ্গে তার ৫৭ রানের শেষ উইকেট জুটি ইংল্যান্ডের ইতিহাসে দশম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিগুলোর একটি।
৩৫.২ ওভারে গুটিয়ে গেলেও ব্রুকের লড়াই দলকে আশা জাগিয়েছিল। এমন ইনিংস সত্ত্বেও জয়ের দেখা মিলল না, তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই।
নতুন বলে দারুণ স্পেলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করেছিলেন ব্রাইডন কার্স। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে কিউইরা।
কিন্তু ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং ব্যর্থতা শেষ পর্যন্ত সব নষ্ট করে দেয়। ২ রানে মাইকেল ব্রেসওয়েল ও ৩৩ রানে ড্যারিল মিচেলকে জীবন দেন ফিল্ডাররা—সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড।
ব্রেসওয়েল ৫১ রানে আউট হলেও মিচেল অপরাজিত ৭৮ রানে ম্যাচ শেষ করেন। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ২৭ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত মিচেলের ৯১ বলের ৭ চার ও ২ ছয়ের ইনিংসেই ১৩.২ ওভার বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
ম্যাচ সারসংক্ষেপ
ইংল্যান্ড: ২২৩ (৩৫.২ ওভার)
হ্যারি ব্রুক ১৩৫ (১০১ বল, ১১ ছক্কা)
নিউজিল্যান্ড: ২২৪/৬ (৩৬.৪ ওভার)
ড্যারিল মিচেল ৭৮*, ব্রেসওয়েল ৫১
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড জয়ী ৪ উইকেটে
ম্যাচসেরা: হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)
