প্রথম এভারেস্টজয়ী দলের শেষ সদস্য কানছা শেরপার মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:০১, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:০৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের ইতিহাসের শেষ জীবিত সাক্ষী কানছা শেরপা আর নেই। ১৯৫৩ সালের ঐতিহাসিক অভিযানে অংশ নেওয়া এই কিংবদন্তি পর্বতারোহী বৃহস্পতিবার নেপালের কাঠমাণ্ডুতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
কানছা শেরপার পরিবার জানিয়েছে, তিনি কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন নাতি তেনজিং চোঘ্যাল শেরপা।
১৯৩৩ সালে জন্ম নেওয়া কানছা ছিলেন তখন কেবল ১৯ বছরের তরুণ, যখন তিনি স্যার এডমুন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে শেরপার নেতৃত্বে প্রথম সফল এভারেস্ট অভিযানে অংশ নেন। পর্বতারোহণে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও, তিনি বহন করেছিলেন দলের খাদ্য, তাবু ও সরঞ্জাম।
দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কঠিন ও বিপজ্জনক সেই অভিযাত্রায় কানছা দলের সঙ্গে ৮ হাজার মিটার (২৬,২০০ ফুট) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণ করেন। সেই দলই প্রথম মানবজাতির পক্ষে এভারেস্টের চূড়া স্পর্শ করেছিল— যা বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য অর্জন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফুর গেলজে শেরপা বলেন, “তিনি ছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি ও পুরো পর্বতারোহণ জগতের প্রেরণার উৎস। আজ আমরা আমাদের অভিভাবককে হারালাম।”
প্রথম অভিযানের পরও কানছা শেরপা আরও দুই দশক হিমালয়ে কাজ করেন। কিন্তু সহযাত্রীদের একের পর এক মৃত্যু দেখার পর, তার স্ত্রী অনুরোধ করেন বিপজ্জনক অভিযান ছেড়ে দিতে। এরপর তিনি পরিবার নিয়ে নেপালের সলুখুম্বু জেলার নামচে বাজারে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
কানছার মৃত্যুতে নেপালসহ গোটা পর্বতারোহী সমাজ শোকাহত। অনেকেই বলছেন—কানছা শেরপার প্রয়াণ মানে এভারেস্ট জয়ের প্রথম অভিযানের শেষ অধ্যায়টির সমাপ্তি।