মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

| ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

যে কোর্ট সঠিক ছিলো না, সেই কোর্টের বিচার কি সঠিক? 

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪:৩৭, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

যে কোর্ট সঠিক ছিলো না, সেই কোর্টের বিচার কি সঠিক? 

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহিত

জুলাইহত্যার বিচার করার জন্য যেভাবে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আইন ও একজন মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি থেকে বলছি। এই ট্রাইব্যুনালে যতো বিচারই হোক না কেন, একদিন না একদিন এই বিচার নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যেই আরেকটি বিচারকাজ হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন, একাত্তর সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। কেন হয়েছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার? 

একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী যখন স্যারেন্ডার করে, সেই ঘোষণাপত্রে লেখা ছিলো-শুধু ৯৩ হাজার সৈন্যের বিচার হবে না, বিচার হবে তাদের যারা সহায়তা করেছিলো-মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, আলবদর, রাজাকার, আলশামসদের সঙ্গে জড়িতদেরও। বিভিন্ন কারণে তখন বিচারটি হয়নি।

মঙ্গলবার বেসরকারি স্যাটেলাইন চ্যানেল এটিএন নিউজের ‘স্বাধীন সাংলাপ’-এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান এসব মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছে আরেকটি দেশের সঙ্গে। গোলাগুলি হয়েছে। আমি নিজে পাঞ্জাবিদের বুকে গুলি করেছি। শতশত পাঞ্জাবি মেরেছি। মুক্তিযোদ্ধারা মেরেছেন। পাঞ্জাবিরা এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ মেরেছে। এটা একটা যুদ্ধ ছিলো, রক্তের মহাযুদ্ধ। ওটাই ছিলো আসল যুদ্ধ। জুলাই অথবা ৫ আগস্ট দুই পক্ষে কোনো যুদ্ধ হয়নি। এটা ছিলো একটা গণঅভ্যুত্থান। গণতন্ত্রের জন্য। যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, যারা দেশের ত্রিশ লাখ লোককে হত্যা করতে সাহায্য করেছিলো, দুই লাখ মা- বোনের ইজ্জতের প্রতি অসম্মান করেছিলো, দেশের শতশত বুদ্ধিজীবী-মনির চৌধুরী, শহীদুল্লাহ কায়সার, ডা. আলীম চৌধুরীদের হত্যা করে বাঙালি জাতির সর্বনাশ করেছিলো। ওইসব মানুষদের বিচার হয়েছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের যে কোর্টে হয়েছে, সেখানে জুলাই হত্যার বিচার হতে পারে না। তাদের আরও কঠিন বিচার হোক, অন্য কোর্টে। 

ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, মো. তাজুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধীদের ডিফেন্সের ল’ইয়ার ছিলেন। আজ তিনি চিফ প্রসিকিউটর। উনি যখন শপথ নিয়েছেন নিরপেক্ষভাবে সবকিছু করবেন, একজন মানুষ হিসেবে তা সম্ভব নয়। কারণ তিনি যে দলের অভিযুক্তদের ডিফেন্স করেছিলেন, তাদের অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। তিনি সেই দলের সদস্য। রাজশাহী ইউনিভার্সিটির শিবিরের নেতা ছিলেন তিনি। ছাত্রলীগ বা ছাত্রমৈত্রীর কেউ যখন হত্যা হয়েছে-আসামি ছিলেন উভয়পক্ষে। তিনি খুনেরও আসামী। প্রসিকিউশনে যারা সাহায্য করেছে তারা সব শিবিরের লোক। 

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশে গণতন্ত্র এলে এই কোর্টের বিরুদ্ধে রিট হবেই। ক্ষমতায় বিএনপি বা যেই আসুক। সঠিক হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট যখন হবে তখন বলে দেবে এই কোর্ট সঠিক ছিলো না। যে কোর্ট সঠিক ছিলো না, সেই কোর্টের বিচার কি সঠিক? ব্যাপারটা ওই জায়গায় চলে যেতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করি। 

তিনি বলেন, দলের কথা আমি সম্মান করি। বিচারের দিকে আমি যাবোই না। এই বিচার কি সঠিক হয়েছে, নাকি বেঠিক করেছে- তা আপিলে গিয়ে প্রমাণিত হবে। কারণ আপিল করার সুযোগ তাদের আছে বলেও তিনি মনে করেন।
 

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

অপরাধী হস্তান্তরে চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৮ দিনে ডেঙ্গু রোগী ১৭ হাজার ছাড়ালো
এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদীকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন ও স্ত্রী সিতারার ৩৩ ব্যাংক হিসা
আমজনতার দলসহ ইসির পুনর্বিবেচনায় আরও ৭ দল
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি : ভবিষ্য তহবিল বাধ্যতামূলক
হাসিনা-কামালকে দেশে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাইবে প্রসিকিউশন
স্মারক স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ
আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না: ড. ইউনূস
বিদেশ থেকে সার-এলএনজি, ইউনিসেফ থেকে ভ্যাকসিন কিনবে সরকার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের যত সম্পদ
কারাবন্দি আইভীকে আরও ৫ মামলায় গ্রেফতার
১৭০৫০টি শটগান পাচ্ছেন আনসাররা
শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ডেনমার্ক
পাকিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসবাদ খতম করবে ‘ধুরন্ধর’ রণবীর
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কম রাখতে উদ্যোগ: সালেহউদ্দিন
মাত্র ৩৪ বছরে ‘ভয়েস অফ উড়িশা ২’ বিজয়ী হুমানির মৃত্যু
বাংলালিংকের নতুন চিফ মার্কেটিং অফিসার কাজী মাহবুব হাসান
রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করে দেবে সরকার
অপরাধ বাড়ছে না, নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা