২০ থেকে ৩০-এ হতে পারে হৃদরোগ!
হার্ট অ্যাটাক এড়াতে বিশেষজ্ঞের ৫ নির্দেশনা
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:৫৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এক সময় মনে করা হত যে, হার্ট অ্যাটাক কেবল মধ্যবয়সী বা প্রবীণদের সমস্যা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যেও এই ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। ভারতীয় চিকিৎসক সিনিয়র কার্ডিয়োলজিস্ট ডঃ এম. শ্রীনিবাস রাও সতর্ক করে বলেছেন—আজকাল বহু তরুণই গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
ডঃ রাওয়ের মতে, এই প্রবণতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম, ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস, অচিহ্নিত উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস—সব মিলেই তরুণদের হৃদযন্ত্রের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। এমনকি দূষণের প্রভাব কিংবা “শুধু মাঝে মাঝে” ধূমপান করলেও তা ধীরে ধীরে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তিনি আরও জানান, বাইরে থেকে ফিট দেখালেও অনেক তরুণের রক্তনালীর ভেতরে অল্প বয়সেই প্ল্যাক তৈরি হতে শুরু করে। ফলে চেহারায় সুস্থতার ছাপ থাকলেও ভেতরে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক এড়াতে করণীয় ৫ বিষয়
১. সক্রিয় থাকুন প্রতিদিন
শুধু সপ্তাহান্তের জিম নয়, প্রতিদিন অল্প সময় হলেও হাঁটুন বা দৌড়ান। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, অফিসে সহকর্মীর ডেস্ক পর্যন্ত হেঁটে যান। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা/সাইক্লিং/সাঁতার এবং দু’দিন স্ট্রেংথ ট্রেনিং করুন।
২. খাবারে স্বাস্থ্যকর উপাদান রাখুন
সবজি (পালং শাক, ব্রকলি, গাজর), ফল (বেরি, কমলা), পূর্ণ শস্য (ওটস, ব্রাউন রাইস), এবং ভালো ফ্যাট (বাদাম, বীজ, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো) প্রতিদিনের খাবারে রাখুন। ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত নুন ও চিনিযুক্ত পানীয় সীমিত করুন।
৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, ওজন এবং কোমরের মাপ নিয়মিত চেক করুন। এগুলো অচিহ্নিত থাকলে হঠাৎ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত চাপ রক্তচাপ ও ধমনীর প্রদাহ বাড়ায়। যোগব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা দিনে ১০ মিনিট ফোন-মুক্ত হাঁটার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।
৫. তামাক ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
ধূমপান বা যেকোনো তামাকজাত দ্রব্য ধমনীর দ্রুত ক্ষয় ডেকে আনে। অতিরিক্ত মদ্যপান হৃদযন্ত্রে অস্বাভাবিক ছন্দ সৃষ্টি করে, যা হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।