অমিতাভের ‘ত্রিশূলে’ আনন্দ পণ্ডিতের ভাগ্য বদল
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:৪০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের এক সাধারণ পরিবারের তরুণ আনন্দ কমলনয়ন পণ্ডিত। জীবনের বাঁকবদলের পেছনে ছিলেন এক অনুপ্রেরণাদাতা—অমিতাভ বচ্চন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ত্রিশূল’ সিনেমায় অমিতাভের বিজয় চরিত্রের সাফল্যের গল্প যেন তার কিশোর মনে আগুন জ্বেলে দিয়েছিল। সেই থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন—একদিন তিনিও নিজের ভাগ্য বদলাবেন।
স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যেই আনন্দ পাড়ি জমান মুম্বাইতে। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী লোটাস ডেভেলপার্স অ্যান্ড রিয়েলটি লিমিটেড, যা আজ ভারতের অন্যতম সফল রিয়েল এস্টেট সংস্থা। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তার ভাগ্য ঘুরে যায়। তিনি মুম্বাইতে অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি ‘জলসা’র পেছনে একটি বাড়ি কিনে ফেলেন—সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায়।
২০২৫ সালের হুরুন ইন্ডিয়া তালিকা অনুযায়ী, আনন্দ পণ্ডিত এখন দেশের দশম ধনী রিয়েল এস্টেট উদ্যোক্তা, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৬৬০ কোটি রুপি। তার সংস্থা লোটাস ডেভেলপার্সের পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দ পণ্ডিত মোশন পিকচার্সও সমান সাফল্যে এগিয়ে চলেছে।
আনন্দের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন শাহরুখ খান ও অমিতাভ বচ্চন—দুজনেই পৃথকভাবে ১০ কোটি রুপি করে দিয়েছেন। পাশাপাশি হৃতিক রোশন, অজয় দেবগণ, একতা কাপুর, সারা আলি খান, টাইগার শ্রফ এবং রাজকুমার রাও-ও যুক্ত হয়েছেন তার প্রকল্পে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা মূলত মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকাগুলোতে পুনর্নির্মাণ ও প্রিমিয়াম হাউজিং প্রকল্পে কাজ করে।
অমিতাভের সঙ্গে আনন্দের সম্পর্ক কেবল ব্যবসায়িক নয়, ব্যক্তিগতও। তিনি বারবার বলেছেন—“অমিতাভ শুধু আমার বন্ধু নন, আমার পরামর্শদাতা ও পরিবারের অংশ।” এমনকি ২০১৩ সালে যখন অমিতাভ ‘জলসা’ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেন, তখন আনন্দ তার বাড়িটি ৫০ কোটিতে বিক্রি করে দেন তাকে।
এই সম্পর্ক পরে সিনেমায়ও ধরা দেয়। আনন্দ প্রযোজনা করেন ‘সরকার ৩’ (২০১৭) এবং ‘চেহরে’ (২০২১)—দুটিতেই মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এছাড়া তিনি প্রযোজনা করেছেন ‘দ্য বিগ বুল’ (২০২১), যেখানে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন।