পঞ্চগড়ে নেমে আসছে শীত, তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৫৩, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:১২, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
হিমালয়ের পাদদেশ ঘেঁষে থাকা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কয়েক দিন ধরেই সন্ধ্যা নামার পর থেকে সকাল পর্যন্ত উত্তর দিকের হিমেল হাওয়া বইছে, আর কুয়াশায় ঢাকা ভোর এনে দিচ্ছে শীতের প্রথম অনুভূতি। দিনের তাপমাত্রা এখনও তুলনামূলক স্বাভাবিক থাকলেও রাতের ঠান্ডা ক্রমে বাড়ছে, তেঁতুলিয়ার জনপদজুড়ে তৈরি করছে ঋতুর পালাবদলের ছায়া।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।
এর ঠিক আগের দিন একই সময় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি। টানা কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করায় শীতের প্রবেশধ্বনি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সকালের দৃশ্যও বলছে শীতের গল্প। হালকা কুয়াশা ভেদ করে আসা নরম সূর্যালোকে ভিজে থাকে গ্রামের পথঘাট। ঠান্ডার মধ্যেই দিন শুরু করেন শ্রমজীবী মানুষরা—পাথর কোয়ারির শ্রমিক, চা-শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যানচালক ও কৃষকরা ভোরেই বেরিয়ে পড়েন কাজের পথে। শীতের প্রথম ধাক্কায় জীবনের গতি থেমে নেই, বরং প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে দৈনন্দিন কর্মযাত্রা।
তবে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও। দিন-রাতের তাপমাত্রার অমিল এবং আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে স্থানীয় হাসপাতালে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর ভিড়ও সে কথাই জানাচ্ছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি হওয়ায় তেঁতুলিয়া এই সময়টায় স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত ঠান্ডা অনুভব করে। হিমেল বাতাস ও হালকা কুয়াশা মিলেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ, যা রাতের শীতলতার সঙ্গে মিলিয়ে তেঁতুলিয়ার শীতকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।
উত্তরের এই সীমান্ত জেলা তাই প্রতি বছরের মতো এবারও আগেভাগেই শীতকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বাড়বে কি না, তা জানার অপেক্ষায় এখন স্থানীয়রা।
