টেকনাফে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানে পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত খানকার ডেইলের জয়নাল আবেদীন পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে—এমন খবর পেয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি-এর নির্দেশনায় একটি বিশেষ আভিযানিক দল মাঠে নামে।

২ বিজিবি অধিনায়ক জানান, গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) রাত ১টার দিকে নাজিরপাড়া বিওপি’র আওতাধীন নারিকেল কাঠি সংলগ্ন ‘সাইফুলের ঘের’ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টহল দল ৪–৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পেরিয়ে ভারী বস্তা বহন করে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে। তাদের থামতে নির্দেশ দিলে তারা দ্রুত পানিতে বস্তাগুলো ভাসিয়ে দিয়ে সীমান্তের ঝোপঝাড়ের আড়ালে পালিয়ে যায়।

পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালিয়ে ঘেরের পানিতে ভাসমান কয়েকটি বস্তা উদ্ধার করেন। এসব বস্তা থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো ১,৮০,০০০ (এক লাখ আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চিহ্নিত পাচারকারী টেকনাফ পৌরসভার ইমান হোসেনের পুত্র জয়নাল আবেদীন পালিয়ে যান। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও আলামত জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে তা টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি বলেন—“এই সফল অভিযান বিজিবির পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তব প্রতিফলন। মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে ইয়াবা পাচার প্রতিনিয়ত ঘটলেও বিজিবির ধারাবাহিক অভিযান মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দিচ্ছে। সাম্প্রতিক এই অভিযানও সেই দৃঢ় অবস্থানেরই আরেকটি প্রমাণ।