সাতক্ষীরায় একদিনে পানিতে ডুবে ৫ শিশু-কিশোরের মৃত্যু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৪২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:১০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে চার শিশু ও এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আশাশুনি, কলারোয়া, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা সদর ও কালিগঞ্জে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে মাত্র ১৩ মাস বয়সী ঈশিতা সানা পানিতে পড়ে মারা যায়। মহেন্দ্র নাথ সানার ছোট মেয়ে ঈশিতা মায়ের হাত ধরে ছিল। হঠাৎ কুকুর তাড়াতে গিয়ে মায়ের হাত ফসকে পুকুরে পড়ে যায় শিশু। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামে দুই বছরের ইরফান খাঁ দুপুরে গোসলের জন্য বাইরে রাখা হলে হারিয়ে যায়। পরে রান্নাঘরের পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শ্যামনগরের চন্ডিপুর গ্রামে মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর ফয়সাল হোসেন (১৬) পানিতে ডুবে মারা যায়। রোববার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শ্যামনগর থানার ওসি মোল্যা হুমায়ুন কবির জানান, পরিবারের আপত্তি না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর আবাসন প্রকল্পে ইসমাইল হোসেনের শিশুকন্যা সোমবার বিকালে পানিতে পড়ে মারা যায়। বিষয়টি সদর থানার ওসি শামিনুল হক নিশ্চিত করেছেন।
কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামে মো. সিরাজুল ইসলামের ১৯ মাস বয়সী মেয়ে লামিসা খাতুন পানিতে পড়ে মারা যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হলেও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
একদিনে পাঁচ শিশু ও কিশোরের মৃত্যুতে এলাকায় শোক নেমে এসেছে। সচেতন মহল বলছে, শিশুদের নিরাপত্তায় পরিবারকে আরও সতর্ক হতে হবে। সামান্য অসতর্কতা প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় রূপ নিচ্ছে, তাই অভিভাবকদের সবসময় বাড়তি দায়িত্বশীল হতে হবে।