অবশেষে আসিয়ানভুক্ত পূর্ব তিমুর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৩৯, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
এশিয়ার নবীনতম দেশ পূর্ব তিমুর অবশেষে দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আজ রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ানের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে পূর্ব তিমুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১১তম সদস্যদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্মেলনস্থলের মঞ্চে যখন পূর্ব তিমুরের পতাকা উত্তোলন করা হয়, তখন পুরো হলজুড়ে করতালির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ।
এই সদস্যপদ অর্জনকে দেশটির জন্য ‘এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও। তিনি বলেন, “এর মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হবে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে অসীম সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
পূর্ব তিমুরের জনগণ প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে আসিয়ানে যোগদানের আশায় ছিল। দেশটির ১৪ লাখ জনগণের আশা—এই আঞ্চলিক সংহতি অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও বাণিজ্যে নতুন প্রাণ আনবে।
রাষ্ট্রপতি হোসে রামোস-হোর্তা, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির পক্ষে কণ্ঠ তুলেছিলেন, এই অর্জনকে “প্রতীকী বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি ১৯৭০-এর দশকেই প্রথম আসিয়ানের সদস্যপদ পাওয়ার ধারণা দেন এবং আঞ্চলিক সংহতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার কথা বলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।
তিন শতাব্দী ধরে পর্তুগিজ উপনিবেশে থাকা পূর্ব তিমুর ১৯৭৫ সালে স্বল্প সময়ের স্বাধীনতার পরই ইন্দোনেশিয়ার দখলে চলে যায়। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ২০০২ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা পায়।
আজকের এই স্বীকৃতি তাদের সেই দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আত্মনির্ভরতার নতুন প্রতীক।
আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটে যোগদানের ফলে পূর্ব তিমুর এখন আসিয়ানের বাজার ও বিনিয়োগ কাঠামোয় প্রবেশাধিকার পাবে। এটি তাদের জন্য কূটনৈতিক উপস্থিতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
