বিমান ভ্রমণে কখনো যে কাজগুলো করবেন না
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৫০, ২৩ আগস্ট ২০২৫

বিমান ভ্রমণ যতই রোমাঞ্চকর শোনাক না কেন, অনেক সময় পুরো যাত্রাপথটাই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ক্লান্ত করে তোলে। তবে যাত্রার আরাম ও সৌন্দর্য নির্ভর করে কেবল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নয়, যাত্রীদের আচরণের ওপরও। তাই শিষ্টাচার ভঙ্গ না করে কীভাবে আকাশযাত্রাকে সবার জন্য স্বস্তিদায়ক করা যায়—সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দেওয়া কিছু পরামর্শ নিচে তুলে ধরা হলো।
বিমান ভ্রমণে যে ৮ কাজ এড়িয়ে চলবেন
১. ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে স্পর্শ করবেন না
কোনো অবস্থাতেই কেবিন ক্রুকে স্পর্শ করা শোভন নয়। খাবার পরিবেশন, পানীয় দেওয়া বা আবর্জনা সংগ্রহ—যে কাজই চলুক না কেন, কেবল ডেকে নিলেই তারা সাড়া দেবেন।
২. বোর্ডিংয়ের পরপরই টয়লেটে যাবেন না
বিমানে ওঠার সাথে সাথেই টয়লেটে গেলে বোর্ডিং প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়। টার্মিনালে থাকতেই ব্যবহার করা উত্তম।
৩. হাত-পা ছড়িয়ে রাখবেন না
স্ট্রেচ করা দরকার হলেও আইলে হাত-পা ছড়িয়ে রাখা বিপজ্জনক এবং বিরক্তিকর। এতে সার্ভিসে ব্যাঘাত ঘটে।
৪. ল্যান্ডিংয়ের পর দৌড়ে সামনে যাবেন না
গেটের কাছে পৌঁছেই সবাই আগে নামতে চাইলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ধৈর্য ধরুন, পালা এলেই নামুন।
৫. ক্রুর নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না
ফ্লাইট ক্রু শুধু খাবার পরিবেশন করেন না, তারা কঠোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই নিরাপত্তা নির্দেশ মেনে চলা জরুরি।
৬. অন্যের আর্মরেস্টে পা রাখবেন না
অন্যের সিটে বা আর্মরেস্টে পা রাখা অশোভন। প্রত্যেক যাত্রীর সমান অধিকার রয়েছে।
৭. খালি পায়ে হাঁটবেন না
বিমানের ফ্লোর নোংরা ও জীবাণুযুক্ত হতে পারে। তাই সবসময় জুতা-মোজা পরে থাকুন।
৮. রিক্লাইন করার সময় সতর্ক থাকুন
সিট রিক্লাইন করা স্বাভাবিক, তবে হঠাৎ করে না করে ধীরে করুন এবং পিছনে কারও খাবার বা ল্যাপটপ আছে কিনা খেয়াল করুন।
কেন এগুলো মানা জরুরি?
বিমান ভ্রমণ শুধু আপনার জন্য নয়, আশেপাশের সবার জন্য। আপনার সামান্য সৌজন্য ও সচেতনতা অন্যদের ভ্রমণকে আরামদায়ক করে তুলতে পারে। আর এই শিষ্টাচার মানা মানেই হলো নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক এবং আনন্দদায়ক আকাশযাত্রা।