এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি স্থগিত

সরকারি আশ্বাসে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার কথা থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে সময় চাওয়ায় এ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছেন। এসব দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।

শেষ খবর অনুযায়ী, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবির বিষয়ে তারা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে দুই মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক চলছে।

জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন—“১২ অক্টোবর শিক্ষকরা যখন প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেন, তখন বলা হলো অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশে নেই। অথচ আজ তারা উপদেষ্টা-সচিব ছাড়াই বৈঠক করছেন! ঠেলার নাম বাবাজি!”

তিনি আরও বলেন,“২০ শতাংশ মানে ২০ শতাংশই, ১৫০০ মানে ১৫০০-ই, ৭৫ শতাংশ মানে ৭৫ শতাংশ। এর কমে শিক্ষকরা মানবে না। প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
আজিজী দাবি করেন, “শিক্ষকদের আন্দোলন এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট-এর আওতায় সারাদেশে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

এর আগে, রবিবার রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১,০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া পেতেন, যা সম্প্রতি বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা হয়েছে। উৎসব ভাতা পূর্বে ২৫ শতাংশ থাকলেও মে মাসে তা ৫০ শতাংশ করা হয়। তবে শিক্ষকরা দাবি করছেন, এটি ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।