পাঠ্যপুস্তক ব্যবস্থাপনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে হস্তান্তর নয়
এনসিটিবির স্বায়ত্তশাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করুন: টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৫, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:২০, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, স্বচ্ছতার অভাব ও সুশাসনের সংকট দূর না করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, প্রকাশনা ও বিতরণের দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত করা কোনো কার্যকর সমাধান নয়—এমন মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলেছে, এনসিটিবির সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে কেবল প্রতিষ্ঠানটির কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিদ্যমান আইন সংশোধন করে প্রাথমিকে স্তরের পাঠ্যবই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণের উদ্যোগ এনসিটিবিকে দুর্বল করবে। এতে গুণগত পরিবর্তন আসবে না, বরং সংকট আরও বাড়বে। সুশাসনের ঘাটতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপই হতে পারে প্রকৃত সমাধান।”
তিনি আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তক ব্যবস্থাপনার মূল সমস্যা সমাধান না করে এক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা আরেক প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হবে অনুচিত। “তথাকথিত বিকেন্দ্রীকরণের নামে এড-হক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাড়লেও যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকে, তবে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা আরও বৃদ্ধি পাবে,”—যোগ করেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন তোলেন, সময়মতো বই সরবরাহে ব্যর্থতা, মান নিয়ে প্রশ্ন ও সমন্বয়হীনতার দায় কেবল এনসিটিবির, নাকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরও এর অংশীদার? তার মতে, “অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বায়ত্তশাসনের পথে প্রতিবন্ধকতা এনসিটিবিকে দুর্বল করেছে।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান— “পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, দরপত্র প্রক্রিয়া, মুদ্রণ ও বিতরণে এনসিটিবিকে পূর্ণ স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের দায় নির্ধারণ ও দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”