সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: তৃতীয় দফায় রিমান্ডে এনায়েত করিম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪২, ২২ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে তৃতীয় দফায় আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে একই মামলায় দুই দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।
আজ সকালে কারাগার থেকে এনায়েত করিমকে আদালতে হাজির করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবির রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান।
তিনি ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় আসেন। অভিযোগ, দেশে এসে তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় একটি প্রাডো গাড়িতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়।
এরপর রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে এই মামলায় আরও কয়েকজনকে—এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির (রওশনপন্থি) মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদ এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেল—রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটক এনায়েত করিমের মোবাইল ফোন ও বিদেশি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে সংগৃহীত তথ্য যাচাই চলছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে বিদেশি ফান্ডিং ও যোগাযোগ চক্র রয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।