শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় অন্তর্ভুক্তি চান ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্টরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:৫৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় অন্তর্ভুক্তি চান ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্টরা

সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্টদের অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবসের এক অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত হয়।

‘স্বাস্থ্যসেবায় ফার্মাসিস্টের ভূমিকা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সোসাইটি অব বাংলাদেশী ফার্মাসিস্ট (এসবিপি)। আলোচনা সভার আগে র‌্যালি করা হয়। তার আগে সকাল ৯টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন একটি জাতির উন্নতি নির্ভর করে তার জনগণের সুস্বাস্থ্য ও যোগ্য মানবসম্পদের ওপর। সেজন্য তিনিই প্রথম দেশে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের স্বীকৃতি দিতে ১৯৭৮ সালে ফার্মেসি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। আগামীতে তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ৩১ দফার ভিত্তিতে প্রণয়নকৃত স্বাস্থ্যনীতি ফার্মাসিস্টদের পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

বক্তারা বলেন, একজন ফার্মাসিস্ট শুধু ওষুধ উৎপাদনকারী বা বিতরণকারীই নন, পাশাপাশি ফার্মাসিস্টরা হচ্ছে চিকিৎসকের সহযোদ্ধা, রোগীর আস্থার প্রতীক, ওষুধের গুণগত মানের রক্ষক, এবং আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সভাপতির বক্তব্যে সোসাইটি অব বাংলাদেশি ফার্মাসিস্টের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আলম রিপন বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এখনও ফার্মাসিস্টদের যথাযথ মর্যাদা ও দায়িত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি হাসপাতাল, মডেল ফার্মেসি, এমনকি জনস্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো ফার্মাসিস্ট। সময় এসেছে দেশের জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার যে- সঠিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়াও অত্যন্ত জরুরি।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ’র ডিন- বেসিক অ্যান্ড প্যারা ক্লিনিক্যাল ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, ২৪-এর আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল রানা।

আরও পড়ুন