ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু

দেশে ডেঙ্গুতে রোগী ও মৃত্যু বাড়ছেই। বিশেষ করে মৃত্যু উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। চলতি মাসের আগ পর্যন্ত এ বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল জুলাই মাসে ৪১ জন। এ মাসে সেই সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছে। আজ বুধবার পর্যন্ত এ মাসে মারা গেছে ৬৫ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজন মারা গেছে। নিয়ে এ বছর এই রোগে ১৮৭ জনের প্রাণ গেল।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৬৮ জন। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৪১ জনে।

গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে এক জন করে মারা গেছে।

তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছর। বাকিদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৫০, ৫৫ এবং ১২ বছর। তাদের তিন জন নারী, দুজন পুরুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের নিয়ে সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৫ জন। এটা মাস হিসেবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এই বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন, জুনে ১৯ জন, আগস্ট ৩৯ জন মারা যায়। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগীদের মধ্যে ১৬৭ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে পাঁচ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ২০১৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৭ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১২৫৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।