বেতনের আশ্বাসে সিএইচসিপিদের আন্দোলন প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী রবি-সোমবার মধ্যে বেতন পাওয়ার আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের আশ্বাসে তারা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
গত ১৫ মাস ধরে বেতন না পেয়ে ৬৩৪ জন সিএইচসিপি গত বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ওইদিন সকাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট (সিসিএইচএসটি) এর প্রধান কার্যালয় মহাখালীর বিএমআরসি ভবনে অবস্থান শুরু করেন।
এতে বৃহস্পতিবার ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়েন।
পরে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. রাসেল শিকদার বলেন, ‘সমাধান হয়েছে। আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে বেতন পাবো- সেরকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে বকেয়া পুরো বেতনে এখনই পাবো না। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন পাবো। বাকি বেতন ইএফপি সম্পন্ন করার পর দেওয়া হবে ।’
জানা গেছে, সিএইচসিপি-দের ১৩ হাজার ৯২৩ টি পদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৩ হাজার ২৮৯ জনকে বেতন-ভাতাদি দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালে নিয়োগ পাওয়া ৬৩৪ জনকে বেতন-ভাতাদি দেওয়া হচ্ছিলো না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘আগের এমডির সম্ভবত কোনো একটা ভুলের জন্য বা অন্য কোনো কারণে তখন ৬৩৪ জনকে বাদ দিয়ে ১৩ হাজার ২৮৯ জনকে বেতন দেওয়া শুরু হয়। তারা কাজও করছেন, অনুমোদনও আছে, তাদের বরাদ্দও আছে। কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না। যেখানে পদ সৃজন আছে, অনুমোদন আছে, সেখানে কেন এমন জটিলতা হয়েছে তা আমি ঠিক বলতে পারছি না।’
এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আসলে একেক জনের একেক মতের কারণে হয়তো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। আবার স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে। সেই কারণে মন্ত্রনালয় হয়তো একটু ভয় পেয়েছে। নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে চাচ্ছে না। কিন্তু যা ই করুক, কমিউনিটি ক্লিনিক অন্য ফর্মে নিয়ে যাক। কিন্তু এই লোকগুলো তো থাকবেই। এখন যারা কাজ করছে, তাদের আপনি বেতন দেবেন না কেন? বেতনও আমাদের কাছে আছে। ওদের বেতনের টাকাও কিন্তু অর্থ মন্ত্রনালয় দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রনালয় (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।’