ডাকসুর উদ্যোগে ১৮ হলের প্রতিনিধি সম্মেলন, ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভাঙার ঘোষণা’ ডাকসু ভিপির
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৩, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:২৫, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ডাকসুর উদ্যোগে ১৮ হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলনে নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডাকসুর সহ–সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।
সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। দেশের বৃহৎ অংশ আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি—এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ ডাকসু ও হল সংসদ প্রতিনিধিদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “গত দুই মাসে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা অসাধারণ কিছু করেছে। বাজেট সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ থামিয়ে রাখা যাবে না।”
সহ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা আত্মাহুতি দিয়েছিল পরিবর্তনের আশায়। ডাকসুর সাম্প্রতিক অগ্রগতি সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন। এটি অব্যাহত থাকলে বড় পরিবর্তন সম্ভব।”
সভাপতির বক্তব্যে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর কোনো গণরুম–গেস্টরুম, টেন্ডারবাজি বা ফাওখাওয়া নেই। এজন্য আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো নেতা নই, আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে দিতে চাই। প্রগতিশীল শিক্ষক নামধারী এক শ্রেণির কুলাঙ্গাররা হাসিনার পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে—খুনির পক্ষ নেওয়া এদের শিক্ষকতার অধিকার নেই।”
জুলাই আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের যে শক্তি আমাদের আজাদ এনে দিয়েছে, সেই জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের।”
সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলের নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং বিভিন্ন হলের সমস্যাসংক্রান্ত প্রস্তাব উঠে আসে।
