শিক্ষক আন্দোলনে সাউন্ড গ্রেনেডে আহত সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৫৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:০৮, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
গ্রেনেডে আহত সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু।ছবি: সংগৃহিত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি—বিশেষ করে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন—নিয়ে চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হওয়া সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার (৩৬) অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের অলক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার দুই সন্তানের জননী। স্বামী ডিএম সোলায়মানও একই অঞ্চলের পরিচিত শিক্ষকপরিবারের সদস্য।
শিক্ষক নেতাদের ভাষ্যমতে,৮ নভেম্বর শাহবাগে ‘কলম বিরতি’ চলাকালে পুলিশ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করলে ফাতেমা আক্তার আতঙ্কে গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ধাক্কা খান।
সহকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন— ‘উনি হঠাৎ ভয় পেয়ে পড়ে যান। সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণে অস্থির হয়ে কথা বলাই বন্ধ হয়ে যায়। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকার পর আজ আমরা তাকে হারালাম।’
চিকিৎসকরা জানান, আতঙ্কজনিত ‘শক রেসপন্স’-এর কারণে তিনি দ্রুত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন— ‘আমাদের সহকর্মী দাবি আদায়ের আন্দোলনে এসে আহত হয়েছিলেন। আমরা তার পরিবারে যাচ্ছি। বিস্তারিত তদন্ত চাই।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (শাহীন-লিপি) নেত্রী খায়রুন নাহার লিপি জানান— ‘একজন মা, একজন শিক্ষিকা, আন্দোলনের একজন সহযোদ্ধার এই মৃত্যু শিক্ষক সমাজকে উথালপাথাল করে দিয়েছে।’
রাতেই চাঁদপুর উত্তর মতলব উপজেলার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে ফাতেমা আক্তারের দাফন সম্পন্ন হবে।
তার মৃত্যুতে পুরো শিক্ষক সমাজ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
