রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগ

কম্বোডিয়া থেকে ফেরত ৫৯ দক্ষিণ কোরিয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:৪২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:২৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

কম্বোডিয়া থেকে ফেরত ৫৯ দক্ষিণ কোরিয়ান

অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে কম্বোডিয়ায় আটক ৫৯ জন দক্ষিণ কোরিয়ানকে শনিবার সকালে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় ইনচন বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সাং-লাক জানিয়েছেন, ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায়, আবার কেউ জোরপূর্বক প্রতারণা চক্রে যুক্ত হয়েছিলেন। তবে অধিকাংশকেই অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে—কেউ চাকরির প্রলোভনে, আবার কেউ অপহৃত হয়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, সাম্প্রতিক এক ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নির্যাতনে মারা যাওয়ার খবর প্রকাশের পর তারা বিশেষ টিম পাঠায় কম্বোডিয়ায়। এর পরপরই দেশটির পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অনলাইন স্ক্যাম চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে বিবিসি কোরিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয় স্থানীয় পুলিশের অভিযানে।

দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা বহনকারী উড়োজাহাজে প্রবেশ করলে সেটি কোরিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে গণ্য হয়। ফলে চার্টার্ড উড়োজাহাজে উঠে সন্দেহভাজনদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

এদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকে আন্তঃসীমান্ত অনলাইন অপরাধ দমনে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি সামাজিকমাধ্যমে লিখেছেন, “দুই দেশই অনলাইন প্রতারণা প্রতিরোধ ও দমনে যৌথভাবে কাজ করবে।”

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রও কম্বোডিয়ার একটি ব্যবসায়ী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের বিটকয়েন জব্দ করেছে।

জাতিসংঘ জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসব প্রতারণা কেন্দ্র থেকে প্রতি বছর অপরাধচক্রগুলো বিলিয়ন ডলার আয় করছে—যার মধ্যে ক্রিপ্টো স্ক্যাম, রোমান্স প্রতারণা, ও ‘লাভ স্ক্যাম’-এর মতো নানা ধরনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত।

তথ্য সূত্র : বিবিসি

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন