তবুও চীনের বিরুদ্ধে ভারতেই আস্থা যুক্তরাষ্ট্রের
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:০৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৪:২৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতকে এখনও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক পাল্টা শক্তি হিসেবে দেখে বলে আবারও নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন, রাশিয়ার তেল আমদানি ইস্যু এবং পাকিস্তান প্রসঙ্গে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে, তবু ওয়াশিংটন বলছে, এই মতবিরোধ কৌশলগত অবস্থানকে নড়বড়ে করতে পারেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুধবার বলেন, “আমরা এখনও ভারতকে ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখি। ভারতই হলো ‘ইন্দো’-এর আসল প্রতিফলন।”
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বৈঠক করেন কোয়াড দেশগুলোর সঙ্গে, যেখানে ভারতও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এ বছরের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।
পাকিস্তান ইস্যুতে অস্বস্তি
তবে ভারতের অস্বস্তির জায়গা হলো ট্রাম্প প্রশাসনের পাকিস্তানমুখী নীতি। ট্রাম্প এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে তেল অনুসন্ধানের আগ্রহও প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট বুধবার জানান, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে এবং কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাণিজ্য ও রাশিয়ার তেল ইস্যু
ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে, বিশেষ করে রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে। ওয়াশিংটন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়ার রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ করাই তাদের লক্ষ্য। যদিও চীনও রুশ তেল কিনছে, তবুও তার ওপর এমন শুল্ক আরোপ করা হয়নি।
কৌশলগত বাস্তবতা
তবুও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, “চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারতের গুরুত্ব অপরিবর্তনীয়।” তারা স্বীকার করছে যে, বাণিজ্য ও জ্বালানি ইস্যুতে মতপার্থক্য আছে, কিন্তু কৌশলগত বাস্তবতায় ভারতকে বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই বার্তা স্পষ্ট করছে যে, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র যতই তীব্র হোক না কেন, ভারতকে পাশে রেখেই ওয়াশিংটন তার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি এগিয়ে নিতে চায়।