২০২৬ সালে ক্রিকেটে নতুন সংস্করণ ‘টেস্ট-টোয়েন্টি’
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৩৩, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০০:২৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিগত তিন শতকে ক্রিকেটের তিনটি সংস্করণ–টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। আবার চলতি শতকে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালু করেছে ১০ ওভার ও ১০০ বলের ক্রিকেট। তবে এ ফরম্যাটগুলোকে অনুমোদন দেয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। তবে আগামী বছর ক্রিকেট বিশ্ব সাক্ষী হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট ‘টেস্ট-টোয়েন্টি’র।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নতুন ক্রিকেট ফরম্যাটের তথ্য জানান ম্যাথু হেডেন, হরভাজন সিং, ক্লাইভ লয়েড ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।
নতুন এই সংস্করণে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের জন্যই আনা হচ্ছে এই ফরম্যাট। এই ফরম্যাটে প্রতিটা ম্যাচ হবে এক দিনের। আর প্রতিটা ম্যাচেই থাকবে টি-টোয়েন্টির মতো জমজমাট লড়াই। ‘টেস্ট-টোয়েন্টি’ ফরম্যাটের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী প্রজন্মের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করা।
২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হবে ‘টেস্ট-টোয়েন্টির’ প্রথম মৌসুম। আর জুনিয়র ‘টেস্ট-টোয়েন্টি’ চ্যাম্পিয়নশিপ নামে শুরু হবে নতুন এই ফরম্যাটের। প্রথম মৌসুম হবে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের নিয়ে। এই জুনিয়র টেস্ট-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক থাকবে ভারত। দ্বিতীয় মৌসুম থেকে নারী ক্রিকেটারদেরও সুযোগ দেওয়া হবে।
নতুন ফরম্যাট টেস্ট-টোয়েন্টির খেলা হবে ৮০ ওভারে। প্রতিটা দল খেলবে দুটো ইনিংস। প্রতিটা ইনিংস ২০ ওভারের হবে। প্রতিটা ইনিংসের রান পরের ইনিংসে ক্যারিফরওয়ার্ড হবে। ঠিক টেস্ট ক্রিকেটের মতো। প্রতিটা দল এই ফরম্যাটে দুবার করে ব্যাট করতে পারবে। অর্থাৎ, একটি দল দুটো ইনিংস মিলিয়ে ৪০ ওভার ব্যাটিং করবে। আর পুরো ম্যাচটাই শেষ হবে এক দিনে।
ক্রিকেটের এই সংস্করণ উদ্ভাবন করেছেন ওয়ান-ওয়ান সিক্স নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া উদ্যোক্তা গৌরব বাহিরভানি। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘এটি কেবল একটি নতুন লিগ নয়। ক্রিকেটের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে ভবিষ্যৎ গড়ার একটি প্রচেষ্টা এটা। আমরা চাই এ সংস্করণের মাধ্যমে প্রজন্মের ক্রিকেটারদের প্রতিভা সঠিকভাবে উদ্ঘাটন ও উদ্যাপন করা হোক।’
টেস্ট-টোয়েন্টি সংস্করণের পরামর্শক বোর্ডে আছেন ক্রিকেটের কিংবদন্তি স্যার ক্লাইভ লয়েড, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ম্যাথু হেইডেন ও হরভজন সিং। এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘এটি খেলোয়াড় ও দর্শকের জন্য নতুন স্বপ্নের সূচনা।’ হেডেন বলেন, ‘এটি এক প্রজন্মের সঙ্গে আরেক প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরি করছে।’
নতুন টেস্ট টোয়েন্টি সংস্করণের পরামর্শক বোর্ডের ক্লাইভ লয়েড বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি টেস্টের ক্রিকেটার। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। আমার মতে, টেস্টকে অবহেলা করা হচ্ছে বছরের পর বছর। আমার মতে, এই সিস্টেমে নতুন কিছু যোগ করা দরকার। কারণ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা টেস্ট না খেললে সেরা ক্রিকেটার খুঁজে বের করা কঠিন।’