রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

মায়ামিতে ম্যাচ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ লা লিগার খেলোয়াড়দের

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:০৪, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

মায়ামিতে ম্যাচ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ লা লিগার খেলোয়াড়দের

স্পেনের শীর্ষ ফুটবল লিগ লা লিগায় আবারও বিতর্কের ঝড়। বার্সেলোনা ও ভিয়ারিয়ালের মধ্যকার আসন্ন ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা মাঠে নেমে প্রথমবারের মতো প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

লা লিগা ও খেলোয়াড় ইউনিয়ন (এএফই)-এর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই বিরোধকে আরও তীব্র করে তুলেছে। মূল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু—২০ ডিসেম্বরের ম্যাচটি স্পেনের বাইরে, যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত।

খেলোয়াড়দের অভিযোগ, এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের কোনো মতামত ছাড়াই। গত দুই মাস ধরে অধিনায়করা বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলেও লা লিগা কর্তৃপক্ষ নীরব থেকেছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রিয়াল ওভিয়েদো ও এসপানিওলের ম্যাচে দেখা যায় অভাবনীয় দৃশ্য। খেলা শুরু হতেই দুই দলের খেলোয়াড়রা ১৫ সেকেন্ড খেলা বন্ধ রেখে নীরব প্রতিবাদ জানান। যদিও টেলিভিশন সম্প্রচারে প্রথম ২৫ সেকেন্ড না দেখানোয় দর্শকদের সেই মুহূর্ত সরাসরি দেখা সম্ভব হয়নি।

স্প্যানিশ ফুটবলারদের সংগঠন (এএফই) জানিয়েছে, নবম রাউন্ডের প্রতিটি ম্যাচেই একই রকম প্রতিবাদ চলবে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।

এক বিবৃতিতে এএফই জানায়, “খেলোয়াড়রা প্রতীকী উপায়ে প্রতিবাদ জানাবেন, যাতে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সংলাপহীনতা ও নীতিগত অসঙ্গতি প্রকাশ পায়।”
লা লিগার ২০টি ক্লাবের অধিনায়কই এই কর্মসূচিতে একমত হয়েছেন।

বার্সা শিবিরে দ্বিধা
তবে বার্সেলোনা ও ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড়দের সরাসরি মাঠে প্রতিবাদে অংশ নিতে বলা হয়নি, যদিও তারা মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত।
বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “৭২০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে একটি লিগ ম্যাচ খেলতে যাওয়া মোটেও যুক্তিসংগত নয়। আমরা এই সিদ্ধান্তে খুশি নই।”

অন্যদিকে, বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা রয়েছেন বিপরীত অবস্থানে। তাঁর মতে, “আমেরিকার বিশাল ক্রীড়া বাজারে বার্সেলোনার ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দেওয়ার এটি এক অসাধারণ সুযোগ।”

ফুটবলারদের এই প্রতীকী প্রতিবাদ এখন ইউরোপজুড়ে আলোচনার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল লা লিগার নয়, বিশ্ব ফুটবলে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ও মতামতের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এনে দিল।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন