বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

| ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

ওমানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচাল আমিরাত

 স্পোর্টস ডেস্ক 

প্রকাশ: ১১:৫৫, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০২:৫৬, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ওমানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচাল আমিরাত

দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর স্বপ্নে উজ্জীবিত সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দোহায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে দারুণ এক লড়াই শেষে ওমানকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে দোহায় জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইউএইয়ের মার্কাস মেলোনি ও কাইও লুকাসের শেষ দিকের দুই গোলই জয় এনে দেয় দলটিকে। ওমানের একমাত্র গোলটি আসে ইউএই ডিফেন্ডার কুয়ামে অটনের আত্মঘাতী শটে।

প্রথমার্ধে ধাক্কা, দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইউএই, কিন্তু ১২তম মিনিটেই ওমান এগিয়ে যায়। আমজাদ আল হারথির শট ইউএই রক্ষণের খেলোয়াড় কুয়ামের গায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢোকে।

প্রথম গোল খাওয়ার পর কোসমিন ওলারইউয়ের শিষ্যরা ধীরে ধীরে খেলায় নিয়ন্ত্রণ নেয়। আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত মিডফিল্ডার নিকোলাস গিমেনেজের শট ২১ মিনিটে ওমান গোলরক্ষক ইব্রাহিম আল মুখাইনির হাতে থেমে যায়।

প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হলেও বিরতির পর মাঠে ফেরে অন্যরকম এক ইউএই। কোচ ওলারইউ একে একে কাইও কানেডো, ইয়াহিয়া নাদার ও হারিব আবদাল্লাকে নামিয়ে দেন, যা পুরো ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়।

৭৬ মিনিটে সমতা, ৮৩ মিনিটে জয়

৭০ মিনিটে ইউএই পায় পেনাল্টি, কিন্তু ভিএআর চেক করে সিদ্ধান্ত বদলে নেয় রেফারি। তবুও থেমে থাকেনি ইউএই। ৭৬ মিনিটে আলি সালেহর নিখুঁত ক্রসে মার্কাস মেলোনি হেডে গোল করে সমতা ফেরান।

তারপরই ৮৩ মিনিটে কাইও লুকাসের দুর্দান্ত দূরপাল্লার শট ওমানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জয় নিশ্চিত করে।

শেষ ১২ মিনিটের ইনজুরি টাইমে প্রবল চাপে থাকলেও গোলরক্ষক খালিদ ইসা ও রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় লিড ধরে রাখে ইউএই।

ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে ইউএই

এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’-এর শীর্ষে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিন পয়েন্ট নিয়ে। কাতার ও ওমানের সংগ্রহ এক পয়েন্ট করে।

আগামী ১৪ অক্টোবর ইউএই মুখোমুখি হবে কাতারের, যেখানে পরাজয় এড়াতে পারলেই ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠবে দেশটি।

অন্যদিকে কাতারকে টিকিয়ে থাকতে হলে জয় পেতেই হবে। ওমানের আশা এখন নির্ভর করছে ইউএইয়ের বড় জয়ের ওপর, যাতে তারা দ্বিতীয় হয়ে প্লে-অফে যেতে পারে।

বিশ্বকাপের পথে বাকি চ্যালেঞ্জ

গ্রুপের রানার্স-আপ দলকে নভেম্বর মাসে ‘গ্রুপ বি’-এর দ্বিতীয় স্থানের দলের সঙ্গে দ্বি-মুখী প্লে-অফ খেলতে হবে। সেই লড়াইয়ের বিজয়ী মার্চে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে গিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্থান নিশ্চিত করবে।

তবে ইউএই কোচ ওলারইউর লক্ষ্য একটাই—কাতারের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি ঐতিহাসিক যোগ্যতা অর্জন।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন