ওমানে কোরআন চর্চায় নারীর অবদানকে স্বীকৃতি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:৫৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে কোরআন চর্চায় নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার মাস্কাটের আল-সিব অঞ্চলের আল-হক মসজিদে ‘ওমানি সোসাইটি ফর দ্য কেয়ার অব দ্য হলি কোরআন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি ছিলেন সাইয়্যিদা আল-শাইমা বিনতে গালিব আল-সাইদ।
অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল পবিত্র কোরআনের চর্চা ও সেবায় ওমানি নারীদের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরা এবং সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে সম্মান জানানো। একই সঙ্গে কোরআন শিক্ষা, সমাজসেবা ও ধর্মীয় কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সংগঠনের অব্যাহত প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়।
ফজরের নামাজের পর শুরু হয়ে দিনব্যাপী এই আয়োজন চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণা, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের এক উষ্ণ পরিবেশ। এতে অংশ নেন ওমানের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী হাফেজা, শিক্ষক ও কোরআন প্রেমীরা।
মোট ১৮১ জন নারী ও কিশোরী এতে অংশগ্রহণ করেন। তারা ৯৮টি কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিনিধি ছিলেন, যেখানে ৯২ জন নারী শিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক এবং ছয়জন প্রশাসনিক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ১২ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে, যা প্রমাণ করে ওমানি নারীরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কোরআন শিক্ষার ধারায় কতটা নিবেদিত।
এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় আসরে চারটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পুরো কোরআন, ১৫ পারা, ১০ পারা ও ৫ পারা বিভাগ। এতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিন্নতা অনুযায়ী সবাই অংশ নিতে পেরেছেন। আয়োজকদের মতে, এই প্রতিযোগিতা শুধু অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেনি, বরং তাদের অধ্যবসায়, শৃঙ্খলা ও কোরআনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধও তুলে ধরেছে।
‘ওমানি সোসাইটি ফর দ্য কেয়ার অব দ্য হলি কোরআন’ জানায়, নারীশিক্ষা ও ধর্মীয় জ্ঞানের বিকাশে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। তারা বিশ্বাস করে, এই ধরনের আয়োজন ওমানের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক জীবনের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং নতুন প্রজন্মকে কোরআনিক জ্ঞানের পথে অনুপ্রাণিত করবে।
সূত্র : ওমান ওবজার্ভার ডট ওএম