সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৪ কার্তিক ১৪৩২

বিমানবন্দরের আগুনের পর নতুন ব্যবস্থায় এনবিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২:০১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বিমানবন্দরের আগুনের পর নতুন ব্যবস্থায় এনবিআর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য রাখার জন্য নতুন স্থান নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আপাতত ‘জিইসি মেইনটেন্যান্স’ নামে স্থানে পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই নতুন স্থানে ইতোমধ্যে কাস্টমস কর্মকর্তারা কায়িক পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছেন। এনবিআর জানিয়েছে, বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে “ASYCUDA World” সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং ওই গেট দিয়েই পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ আমদানি পণ্য পুড়ে যায়। আগুন লাগার পর থেকে বিমানবন্দরের আমদানি কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ এখনো চলমান।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিন বলেন,আগুনে কার্গো কমপ্লেক্সের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ভবনে আর আমদানি পণ্য রাখা সম্ভব নয়। আপাতত নবনির্মিত ৩ নম্বর টার্মিনালে আমদানি পণ্য রাখা হবে।”

তিনি আরও জানান, নতুন টার্মিনালটি সাময়িকভাবে ব্যবহৃত হলেও সেখানে নিরাপত্তা ও শুল্ক প্রক্রিয়া আগের মতোই বজায় থাকবে।

অগ্নিকাণ্ডের পর যেন দেশের আমদানি প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয়, সে জন্য এনবিআর দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেয়। এই উদ্যোগের ফলে বিমানবন্দরে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আমদানি পণ্য সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও খালাসের মূল কেন্দ্র ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুধু পণ্য নয়, বহু নথিপত্র ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এই সমন্বিত পদক্ষেপে আমদানি বাণিজ্য দ্রুত স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন