বন্দরের পণ্যবাহী গাড়ির বর্ধিত গেট পাস ফি স্থগিত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫৩, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে নতুন ট্যারিফ শিডিউলে পণ্যবাহী গাড়ির গেট পাস ফি বৃদ্ধির কারণে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা সাময়িকভাবে নিরসন হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে বর্ধিত ফি আপাতত স্থগিত থাকবে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান, “বন্দর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে—সরকারি অনুমোদন না আসা পর্যন্ত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও প্রাইম মুভারসহ যানবাহন খাতে নতুন ট্যারিফ কার্যকর থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বন্দর প্রশাসনের একক এখতিয়ারে তা বাতিল করা সম্ভব নয়, তবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে ফি বৃদ্ধির অংশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”
আন্তঃজেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বলেন,“বন্দর চেয়ারম্যান স্পষ্ট বলেছেন, আপাতত ২৩০ টাকা গেট পাস ফি দিতে হবে না। আগের মতোই ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় পাস নেওয়া যাবে। এতে আমাদের গাড়িগুলো আবার বন্দরে প্রবেশ করে পণ্য পরিবহন শুরু করবে।”
প্রতিদিন বন্দর এলাকায় ৮ থেকে ৯ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। শ্রমিক ও মালিকদের আশ্বাসে তারা কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আরেকজন শ্রমিক নেতা জানান, “লিখিত স্থগিতাদেশ পাওয়ার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করব। মৌখিক আশ্বাস ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।”
১৪ অক্টোবর রাত থেকে প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার মালিকরা নতুন ট্যারিফ শিডিউলের প্রতিবাদে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেন। এতে আমদানি পণ্য ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যায়। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাও চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে ব্যাপক অচলাবস্থা দেখা দেয়।
বন্দর সচিব জানিয়েছেন, “চিঠি দেওয়ার দাপ্তরিক প্রক্রিয়া চলছে। লিখিতভাবে স্থগিতাদেশ জারি হলে সংশ্লিষ্ট সবাই তা পেয়ে যাবেন।”
বন্দর বোর্ডের পরবর্তী সভায় বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় তোলা হবে এবং মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।