এই ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সারজিস
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৩৪, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য প্রতীক দিতে পারে না, তাদের অধীনে বাংলাদেশে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির কর্মিসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সারজিস আলম।
নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে এনসিপির আবেদন করা ‘শাপলা প্রতীক’ মার্কার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, “আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সময়ই শাপলা প্রতীক চেয়েছিলাম। এরপর এতদিনেও কমিশন কেন সেটি তালিকাভুক্ত করেনি? আজকে উনি কোন মুখে বলেন এটা দেওয়া যাবে না? আমাদের আইনজ্ঞরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে কোনও আইনগত বাধা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “শাপলা প্রতীক নিয়ে এনসিপি নির্বাচন করবে এবং যদি এতে অন্যায় করা হয়, দলটি রাজনৈতিকভাবে তার জবাব দেবে।”
জুলাই সনদ স্বাক্ষর প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের জুলাই সনদ স্বাক্ষরে যে তাড়া, তার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সনদ ঘোষণার দিনে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের ওপর হামলা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য লজ্জাজনক।”
তিনি অভিযোগ করেন, “প্রশাসনকে ব্যবহার করে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের পেটানো, আঘাত করা ও রক্তাক্ত করা হয়েছে—শুধু কয়েকটি স্বাক্ষরের জন্য।”
সারজিস বলেন, “আমাদের আহত যোদ্ধা আতিকের হাত রাস্তায় পড়ে ছিল—এটা সরকারের জন্য চরম লজ্জা। এই সরকারের উচিত তাদের ডেকে ক্ষমা চাওয়া।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ঐকমত্য দরকার ছিল, তা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “যে দলগুলো ঐকমত্য কমিশনে অংশ নিয়েছিল, তাদের মতামত নিয়ে দিন ধার্য করা উচিত ছিল। কিন্তু মনে হলো সরকার শুধু দ্রুত সনদ শেষ করতে চায়।”
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানটি কেবল কিছু ‘বড় পদবিধারী’ কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয়। অথচ জুলাইযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়নি।”
এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আগে জনগণ রাস্তায় নামেনি, কারণ তারা বিশ্বাস করত না কারও ওপর।”
সারজিস আলম বলেন, “জনগণ তাদের ওপরই ভরসা রাখে, যারা সত্যিকার অর্থে তাদের কথা বলে। এখন যদি সেই আস্থার প্রতিদান কেউ না দেয়, জনগণ আগামীতে তার প্রতিফলন দেখাবে।”