সুস্থ থাকলে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: রিজভী

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,“বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। তিনি যদি শারীরিকভাবে সক্ষম থাকেন, তবে নির্বাচনী গণসংযোগে সরাসরি অংশ নেবেন।”

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, “সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা কি কেবল দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে কোনো পরিকল্পিত চক্রান্ত—তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”

তিনি অভিযোগ করেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসকে আটকে রাখার ঘটনা কেবল আমলাতান্ত্রিক ভুল নয়, বরং “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র” হতে পারে।

রিজভী বলেন,আজকেও চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এসব ঘটনা কাকতালীয় নয়, এগুলো নাশকতার ইঙ্গিত দেয়।

বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ আরও বলেন,“দেশে স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য একটি মহল সচেষ্ট এবং ভারত সেই চেষ্টাকে কখনো না কখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে এসেছে। ভারত চায় না বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক।”

তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,“সে সময় ভারতের কূটনীতিকেরা এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন,“গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি মবক্রেসি প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে গণতন্ত্র কখনোই টিকবে না।”সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।