স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কোর কমিটি

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত ও সমন্বয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে।

উপদেষ্টা জানান, কোর কমিটিতে আরও সদস্য যুক্ত করে ১২ থেকে ১৪ জনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। কমিটিকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতার কোনো উপাদান ছিল কিনা, কিংবা দ্রুত নির্বাপন করা যেত কি না, সবকিছুই তদন্তে উঠে আসবে।”

ফারুক-ই-আজম জানান, তদন্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও দায়বদ্ধতা—সব দিক বিবেচনায় নেওয়া হবে। তিনি বলেন,“আমাদের সিভিল এভিয়েশনে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু আগুন নির্বাপনের সক্ষমতা যথেষ্ট ছিল না। এটি সরকারের কারিগরি ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।”
তদন্তে দেখা হবে—সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল কিনা, এবং ভবিষ্যতে বড় অগ্নিকাণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

গত শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে।

প্রায় ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে পুরোপুরি নির্বাপণে সময় লাগে ২৭ ঘণ্টা।অগ্নিকাণ্ডে বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে কয়েক ঘণ্টা, পরে রাত ৯টার দিকে বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের একের পর এক ঘটনায় সরকার ও জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

১৭ অক্টোবর: চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে; ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে।
একই রাতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি সূতার মিলে আগুনে কোটি টাকার ক্ষতি হয়।

এরও আগে ১৪ অক্টোবর মিরপুরের রূপনগরে একটি কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় আগুনে ১৬ জন প্রাণ হারান।