রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৪ কার্তিক ১৪৩২

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:০৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার

সাম্প্রতিক একাধিক অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোরদার নজরদারি ও টহল কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ রাজধানী ও চট্টগ্রামে গত সপ্তাহে তিনটি আগুন লাগার পর থেকেই সারাদেশে “কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন” (কেপিআই) এলাকাগুলোতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই মৌখিক নির্দেশে কেপিআই এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সারা বছরই নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা থাকে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পর আমরা সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে কোথাও কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে।”

সরকারি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সারা দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি স্থাপনা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এসব স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিতে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত টহল, নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রেরণ, সিসিটিভি মনিটরিং, ভেহিকেল সার্চ মিরর ও লাগেজ স্ক্যানার ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ড—চট্টগ্রামের ইপিজেড, মিরপুরের গুদামঘর এবং শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ঘটনায়—নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ঘটনায় শুধু অগ্নিনিরাপত্তা নয়, গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা জরুরি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র‌্যাব, আনসার ও বেসামরিক নিরাপত্তাকর্মীরাও যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন