শাহজালালে আগুনে ১০০ কোটির বেশি ক্ষতি: বিজিএমইএ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৩৩, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তারা বলছে, এই ঘটনায় দেশের প্রধান রপ্তানি খাত—তৈরি পোশাক শিল্প—মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। তার সঙ্গে ছিলেন সহসভাপতি মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদসহ শীর্ষ নেতারা।
পরিদর্শন শেষে ইনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে উচ্চমূল্যের তৈরি পোশাক, কাঁচামাল ও স্যাম্পল পণ্য সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এতে শুধু বর্তমান রপ্তানি নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। তাই ক্ষতির পরিমাণ বিশাল হতে পারে।’
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জানান, বিজিএমইএ ক্ষতির তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে। সদস্য কারখানাগুলোর কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তথ্য নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত যাচাইয়ের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি—পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে ছাই। আমাদের ধারণা, ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন টাকার (১০০ কোটি টাকার বেশি) হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, বাণিজ্য উপদেষ্টা ঘটনাস্থলেই নতুন আমদানিকৃত পণ্যের কার্যক্রমে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত পণ্য খালাসের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া কাস্টমসের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে যাতে দ্রুত পণ্য খালাস সম্পন্ন করা যায়। এমনকি শুক্র ও শনিবারও কাজ চলবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএ নেতারা শুষ্ক মৌসুমে শিল্পাঞ্চল, গুদাম ও কারখানাগুলোতে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থার কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।