নেমেছে কনকনে শীত, কুয়াশায় ঢেকে জনজীবন স্থবির
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:০০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২০, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশের শীতলতম জনপদ হিসেবে আবারও নিজ অবস্থানে ফিরেছে দিনাজপুর। তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মৌসুমে জেলাটির অন্যতম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করেন দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন। তার ভাষায়, “বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, আর গত ২৪ ঘণ্টায় গড় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার।”
ভোর হওয়ার আগেই কুয়াশার ঘূর্ণায়মান চাদরে ঢেকে যাচ্ছে শহর, গ্রাম, মাঠ–ঘাট—সবকিছু। রাত যত গভীর হয়, কুয়াশার রাজত্ব ততই বিস্তৃত হয়। হিমেল বাতাসের ধারালো শীত আর কুয়াশার চাপা ঘনত্ব মিলে সৃষ্টি করেছে কাঁপন ধরানো পরিবেশ।
দিনের বেলায় কিছুটা রোদ, তবুও শীতের দাপট অটুট
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলো পাওয়া গেলেও শীতের তীব্রতা তেমন কমছে না। সন্ধ্যা নামলেই আবারও পুরো জেলাজুড়ে নেমে আসে ঘন কুয়াশা। ফলে সকাল–সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হওয়াটা হয়ে উঠছে দুঃসাহসিক।
কুয়াশায় দৃশ্যমানতা এতটাই কমে যাচ্ছে যে, সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে এগোতে হচ্ছে।
রোজগারে ধস: শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে
দিনাজপুরের শ্রমজীবী মানুষের ওপর এই শীতের প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
অটোরিকশা চালক আবেদ আলী বলেন, “গত সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা এত বেড়েছে যে মানুষ ঘর থেকে निकलছেই কম। যাত্রী না থাকায় ভাড়া অনেক কমে গেছে।”
ট্রাকচালক তাহের ইসলাম জানান, “কুয়াশা আর ঠান্ডায় গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হয়। কিছু দেখতে পাওয়া যায় না, গন্তব্যেও পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।”
শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাতাসের আর্দ্রতা এবং নিম্নগতি মিলিয়ে কুয়াশা আরও ঘনীভূত হতে পারে। ফলে দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
