প্রবাসীদের ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু মঙ্গলবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:০৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০০:০১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রবাসীদের ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু মঙ্গলবার। গ্রাফিক্স: সমাজকাল
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে দেশের প্রবাসী ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট পেপার মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে পাঠানো শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে দশম কমিশন সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, দুই ধরনের পোস্টাল ব্যালট আছে। দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে। দেশের বাইরের ব্যালটগুলো আমরা আগামী কাল থেকে ছাপানোর কাজ শুরু করছি। আগামী পরশুদিন থেকে এটা বিদেশে পাঠানোর কাজ শুরু হবে। আর দেশের ভেতরে যে পোস্টাল ব্যালটগুলো আছে সেইগুলোর আমরা নিবন্ধন কাজ শুরু করবো।
তিনি বলেন, দেশের ভেতরে তিন ধরনের ভোটার (আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারি) পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন। তারা তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে শুরু শুরু করে মোট ১৫ দিন নিবন্ধন করতে পারবেন। এই নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তাদের কাছে ইনকান্ট্রি পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যালট চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকরা যেন নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য যেসব সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও এই পয়েন্টটা এসেছিল যে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত থাকেন তারা আগের রাতে যখন ওই কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছান তাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা দুর্বল থাকে বলে স্থানীয় অনেকের সহায়তা নিতে বাধ্য হন। এই সহায়তা নেওয়ার ফলে অনেক সময় এখানে রাজনৈতিকপ্রভাব কাজ করে থাকে এবং তারা পরের দিন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন না। আমরা দৃঢ়ভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এটা নিরুৎসাহিত করছি। বলে দেওয়া হচ্ছে কোনও ধরনের স্থানীয় সহায়তা তারা নেবেন না।
সানাউল্লাহ আরও বলেন, আগামীকাল আমরা আঞ্চলিক এবং সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিকেল ৩টায় জুম মিটিং করবো। তফসিল উত্তর কার্যক্রমের কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে-যেমন রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের নিয়োগ বিষয়ে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে যেদিন তফসিল ঘোষণা হবে সেদিনই সন্ধ্যাবেলায় আমরা জেলা এবং জেলা পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তা, তথা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে জুম মিটিং করবো। পরে একটা ফিজিক্যাল মিটিং হবে যেটা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে। নির্বাচনি তথ্য সংগ্রহের জন্য অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত ১০ জনের একটা কমিটি করা হয়ে থাকে। আমরা এই কমিটিটাকে ১৪ জনে উন্নীত করেছি। যেখানে আমাদের একজন অতিরিক্ত সচিব নেতৃত্বে থাকবেন। ১০ জনের এলাকাভিত্তিক আরও একটি কমিটি থাকবে যারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি এলাকাভিত্তিক সমাধান করবেন।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অতীতে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া ছিল, সেটাই বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ ট্যাক্সি ক্যাব, পিকাপ, মাইক্রোবাস এবং ট্রাক– এগুলো চলবে না ২৪ ঘণ্টার জন্য আর ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলবে না। বাকি যানবাহন হাইওয়েতে চলমান থাকবে, বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানকারী সংস্থা বিমানবন্দর ইত্যাদি এগুলো যেভাবে ফ্রি থাকে, ফ্রি থাকবে। ভোট গ্রহণের দিন সাধারণ ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এদিন সাধারণ ছুটি থাকবে। অন্যান্য সময় যেমনটা থাকে।
