লন্ডনে স্টারমার–জেলেনস্কির শান্তি বৈঠক আজ
লন্ডনে শান্তি আলোচনায় বসছেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৪৮, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ সমাধান নির্ধারণে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) লন্ডনে মুখোমুখি বসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। বহুল আলোচিত শান্তি আলোচনার এই পর্যায়কে বলা হচ্ছে “টার্নিং পয়েন্ট”—তবুও দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে জট ছাড়ছে না।
মুখ্য অচলাবস্থা রয়েছে দুটি বিষয়ে—
এক. যুদ্ধ-পরবর্তী ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর আকার কত হবে।
দুই. পূর্ব দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ থাকবে কি না।
বিবিসি জানিয়েছে, এই দুই বিষয়ের সমাধান না হলে শান্তি রূপরেখা চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। মার্কিন বিশেষ দূত কিথ কেলোগ রয়টার্সকে বলেন, “এই দুই ইস্যু মিটলেই বাকি সবকিছু দ্রুত এগোবে। আমরা লক্ষের খুব কাছাকাছি।”
ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, আজকের বৈঠকে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে গভীর আলোচনা হবে। তবে আলোচনার বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে বহু-ধাপের একটি খসড়া পরিকল্পনায় কাজ করছে। যদিও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনো দেখা যায়নি। সপ্তাহান্তে মার্কিন–ইউক্রেন বৈঠকের পর জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে আলোচনায় তিনি আরও আশাবাদী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যেতে চান।
প্রথম দফার মার্কিন খসড়া পরিকল্পনায় ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো আপত্তি জানিয়েছিল, কারণ সেটি রাশিয়ার প্রতি অতিরিক্ত সুবিধাজনক ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে খসড়ায় সংশোধন আনা হয়। এরই মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলো সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি পর্যবেক্ষণে একটি ইউরোপীয় নিরাপত্তাবাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে মস্কো সেই ধারণা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মার্কিন খসড়ার বিতর্কিত তিনটি পয়েন্ট—ন্যাটোর ভূমিকায় সীমাবদ্ধতা,ইউক্রেন সেনাবাহিনীর আকারে বিধিনিষেধ ও দনবাসে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।
এই পয়েন্টগুলো নিয়েই কিয়েভ ও ইউরোপীয় দেশগুলোর আপত্তি এখনও তীব্র।
আজকের স্টারমার–জেলেনস্কি বৈঠক তাই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বড় মোড় এনে দিতে পারে—অথবা অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে।
