খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশেই চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
প্রকাশ: ১৩:২৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সীমিতভাবে কথা বলারও চেষ্টা করছেন তিনি বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তাকে লন্ডন নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, ‘আগের চেয়ে তার অবস্থা কিছুটা ভালো। আমরা চেষ্টা করছি, দেশেই চিকিৎসা দিতে। আমাদের বিশ্বাস তিনি দেশের চিকিৎসায় সেরে উঠবেন। তার অবস্থা এর চেয়েও বেশি ক্রিটিক্যাল ছিল। তখনও সেরে উঠেছিলেন। লন্ডন নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে’।
তিনি জানান, রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সিটিস্ক্যানসহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়, যেগুলোর রিপোর্ট সন্তোষজনক। ফলে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেশেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছে বোর্ড।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের এক ডজন চিকিৎসক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করছেন।
সিসিইউতে খালেদা জিয়ার পাশে রয়েছেন ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী এবং দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শমিলা রহমান। পুত্রবধূ ও চিকিৎসক ডা. জোবাইদা দেশে ফিরে চিকিৎসার সমন্বয় করছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানান, মেডিকেল বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেই তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। কাতার সরকারের পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে এবং অপারেশনাল কোনো বাধা হবে না।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে নিতে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ‘ভিভিআইপি’ শিডিউল অনুমোদন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা পৌঁছে একই দিন রাত নয়টার দিকে ঢাকা ত্যাগ করার কথা। তবে খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের মূল্যায়ন ও প্রস্তুতির ওপর সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে।
