রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৪ কার্তিক ১৪৩২

ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক

শাহজালালের ‘কার্গো ভিলেজে’ ছিল না আগুন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:১৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৩৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

শাহজালালের ‘কার্গো ভিলেজে’ ছিল না আগুন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা

রবিবার বিকেলে শাহজালাল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন শনাক্ত ও প্রতিরোধ (ডিটেকশন ও প্রটেকশন) ব্যবস্থা না থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “কার্গো ভিলেজের কাস্টমস হাউস অংশ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ভবনটিতে আগুন শনাক্ত বা প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যদি এমন সিস্টেম কার্যকর থাকত, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না।”

লে. কর্নেল তাজুল জানান, ভবনটি একাধিক ছোট ছোট কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা ছিল, যার প্রতিটিতে বিপুল দাহ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ (হ্যাজার্ডাস) উপাদান মজুত ছিল। এসব কারণে ‘অকুপেন্সি লোড’ ছিল অত্যধিক, ফলে নির্বাপণ কার্যক্রম জটিল হয়ে পড়ে এবং সময় লেগেছে অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, “আমরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম। কোথাও কোনো বাধা বা বিলম্ব হয়নি। শাহজালাল বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার টিম ও আমাদের বাহিনী—দুই পক্ষই নিজ নিজ দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছে। এখানে কোনো নিয়মবহির্ভূত কিছু ঘটেনি।”

৩৭ ইউনিটের অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণ

ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট টানা কয়েক ঘণ্টার অভিযানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাজুল ইসলাম বলেন, ভবনের ভেতর এখনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, কারণ এটি স্টিল স্ট্রাকচারে নির্মিত—যা তাপ শোষণ করে দীর্ঘ সময় ধরে তা নিঃসরণ করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, “বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখা গেলেও নতুন কোনো শিখা বা আগুনের আশঙ্কা নেই। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে আমাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে অবস্থান করবে যতক্ষণ ধোঁয়া পুরোপুরি বন্ধ না হয়।”

কার্গো ভিলেজের মতো কৌশলগত স্থানে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি দুঃখজনক উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “আগুন শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (ফায়ার ডিটেকশন) ও স্বয়ংক্রিয় নির্বাপণ ব্যবস্থা (ফায়ার প্রটেকশন) থাকলে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হতো।”

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন