চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা: ট্রেইলার চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:১৬, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ শিডিউল ঘিরে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। পণ্যবাহী ট্রেইলার, প্রাইম মুভার ও আন্তঃজেলা ট্রাক মালিকরা ১৪ অক্টোবর রাত থেকে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। পাশাপাশি, রবিবার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
প্রধান সমুদ্রবন্দরের গেইট পাস ফি ৫৭ টাকা থেকে এক লাফে ২৩০ টাকা করায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিকরা ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রেখেছেন। এতে কনটেইনার পরিবহন কার্যক্রমে মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হ্যান্ডলিং ও অপারেশন কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘এটি ধর্মঘট নয়, বরং ফি অযৌক্তিকভাবে বাড়ানোয় আমরা বাধ্য হয়েছি গাড়ি বন্ধ রাখতে। তেলের দাম বাড়লে পরিবহন ভাড়া রিভাইস করা হয়, কিন্তু এমন হঠাৎ গেইট পাস বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও শ্রমিকরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন। আশা করি আলোচনায় সমাধান হবে।’
এদিকে, পণ্যবাহী ট্রেইলার না চলা এবং সিঅ্যান্ডএফদের কর্মবিরতির ফলে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত সমাধান না এলে চট্টগ্রাম বন্দরে পূর্ণ অচলাবস্থা তৈরি হবে।
শনিবার নেভি কনভেনশন হলে পোর্ট ইউজার্স ফোরামের এক প্রতিবাদ সভায় সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী হুঁশিয়ারি দেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে ট্যারিফ সংকটের সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ‘কিছু স্থানে ট্রেইলার চলাচলে বাধা থাকলেও বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান আজ দুপুরে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের এই ট্যারিফ ইস্যু দ্রুত না মিটলে দেশের পণ্য সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।