ফেসবুকে আমজনতা দলের তারেক রহমান
‘জুলাই বিচার-আইনি গতিপথ পুরোটায় পথভ্রস্ট’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
তারেক রহমান
নিজ দলের নিবন্ধনের দাবিতে আমরণ অনশণের মাধ্যমে আলোচিত আমজনতা দলের মহাসচিব তারেক রহমান এবার জুলাই নিয়ে বিচার ও আইনী গতিপথকে ‘পুরোটায় পথভ্রস্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই প্রসিকিউটরের সমালোচনা ও রায় ঘোষণার আগে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর পরিবর্তনেরও দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সমাজকালের পাঠকের জন্য তারেক রহমানের পোস্টটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
“আমাদের দেশটাকে আমাদের ভালোবাসতে হবে, সেটা আমাদের মত করে নয়। সবার মত করে। ক্ষমতার এই দাপট থাকবে না, হুংকার নরম হয়ে আসবে। একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন ছাড়া পরবর্তী সরকার কোন ভাবেই শক্তিশালী হবে না।”
“মনের অজান্তে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে সবাই, বিচারের নামে তামাশা চলছে। এককালের মানবতাবিরোধী আসামীর পক্ষ নেয়া আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাহেব আজ নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কারো বিচার করছে এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে। বিষয়টা বিচারকে ৭১ এর মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধের মত লাগছে। রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তিকে চীফ প্রসিকিউটর করার দাবি জানাচ্ছি। এটা বিচারকে অধিক গ্রহণযোগ্য করবে।”
“আওয়ামীলীগকে একটা প্রশ্নঃ জুলাই গণ অভ্যুত্থান নিয়ে মামলায় একটাই প্রশ্ন আমার এই বিরাট হত্যাকান্ড কি একে বারেই মিথ্যা।”
“বিজয়ীদের জিজ্ঞাসাঃ জুলাই গণ অভ্যুত্থানে যে মামলা গুলো দিয়ে নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে, তার ৯০% কি মিথ্যা নয়। বলবেন ঘটনা সত্য, আমিও বলছি ঘটনা সত্য। প্রশ্ন হলো একেকটা মামলায় ১৫০-২০০ জনকে জড়িয়ে অন্যায়ভাবে তা কি রাষ্ট্র প্রমান করতে পারবে। যার গুলিতে মারা গেছে, তাকে ছাড়া সবাইকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মিথ্যা মামলা গুলো জুলাইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়েছে নাকি বাড়িয়েছে। পলাতককে হয়ত ফাঁসির রায় দেবে যাকে এ জীবনে দেশে আনা যাবে না, আর আটককে রাজসাক্ষী বানিয়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে। মারাত্মক বিচার চলছে, দুজনেই বেঁচে গেল।”
“এই সামগ্রিক বিবেচনায় আমার অবজারভেশনে, জুলাই নিয়ে বিচার ও আইনী গতিপথ পুরোটায় পথভ্রস্ট। তাজুল ইসলাম শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটায় ফাঁস হয়ে গেছে, আইজিপি মামুনকে নিয়ে একটা বড় দান মেরে দিয়েছে। পুরো জুলাই মামলা তাদের নির্বাচনী ব্যায়ের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। আবার দেখবেন লোক দেখানো বিচার করতে দুচারজন এমপি মন্ত্রীকে ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারে।”
“আমি আসলে কি চাই, আমি চাই ন্যায় বিচার। আদালতে যেমন ন্যায় বিচার চাই। ভোটের মাঠেও ন্যায় বিচার চায়। আদালতের পাশাপাশি জনগনও রায় দিক। শুধু মুখে মুখে বললেই তো হবে না, উমুক খারাপ। জনগনের ভোটে কে খারাপ কে ভাল তার প্রতিফলন ঘটুক। ভোটে হারার ভয়ে প্রতিপক্ষকে ভোটের মাঠের বাহিরে রাখতে চাওয়া ফ্যাসিজম ছাড়া আর কি?”
