প্রেসিডিয়াম সভার প্রস্তাব
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিতে চায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৩৯, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) অংশ নিতে চায় বলে জানিয়েছে দলের একাংশ।
দলের জরুরি প্রেসিডিয়াম সভায় বলা হয়েছে, বিগত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে, জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করতে চায়। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কৌশলে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে সেটি আরো কিছুটা সময় পর জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
এর আগে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের নিকট আহ্বান জানানো হয় প্রেসিডিয়াম সভা থেকে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
পরে সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করবে। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে নির্বাচনী মাঠে প্রচারনায় যাতে সকল রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পাই সে ধরনের একটি ভয়, ডরহীন ও আতঙ্কহীন পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করতে চায় জাতীয় পার্টি।
প্রেসিডিয়াম সভা থেকে প্রশাসনে কোন দলীয় সমর্থক কোনো কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকলে তাকে ওই পথ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের ওই পদে বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভা আরো মনে করে, বর্তমান সরকার আন্তরিক হলে, অবশ্যই সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামীতে একটি ভোট উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শুরু হতে পারে।
জাপা জানায়, এছাড়া নির্বাচন কমিশন সহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবিধান প্রদত্ত তাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষতার সাথে পালন করে একটি সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য ভোট উৎসব যাতে উপহার দিতে পারে। যে ভোট উৎসবে বাংলাদেশের সকল মানুষ ভয় ডর হীন ভাবে অংশগ্রহণ করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান এড. কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান এড. মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।
