শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

বাম গণতান্ত্রিক জোট

২৭ অক্টোবর নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১:৪৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

২৭ অক্টোবর নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীতে পড়বে জানিয়ে সরকারের নতজানু নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানালেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কমরেডস মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ইকবার কবির জাহিদ, সাজ্জাদ জহির চন্দন, শাহ আলম, মোশরেফা মিশু, মাসুদ রানা, আব্দুল আলী, শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ডা. মুশতাক হোসেন, হারুন অর রশীদ ভ‚ইয়া, রজত হুদা, ডা. আবু সাঈদ, ডা. হারুন অর রশীদ, মুক্ত বাড়ৈ, মাশুক শাহী, সাদিয়া তাসনিম নৌশিন, মফিজুর রহমান লাল্টু, শামীম ইমাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মতিবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজেকুজ্জামান রতন, নিখিল দাস, শহীদুল ইসলাম সবুজ, নওশীন মুশতারী সাথী, অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, নজরুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।

সভায় আলোচকরা বলেন, ’অন্তর্র্বর্তী সরকার তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সারা দেশের সচেতন মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে যা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। চট্টগ্রাম বন্দর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য সরকার এত মরিয়া হয়ে উঠেছে তা দেশবাসীর মনে গভীর সন্দেহের উদ্রেক করে। আওয়ামী আমলে হাসিনা সরকার এই জাতীয় স্বার্থ বিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করেছিল কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্র্বর্তী সরকারও বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পথে হাঁটছে বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই সরকার দেশকে সা¤্রাজ্যবাদীদের একটা গুঁটিতে পরিণত করছে। করিডোর, অস্ত্র কারখানা, স্টার লিংক, আমেরিকার সাথে গোপন চুক্তিসহ নানা রকম সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে দেশকে জড়িয়ে ফেলছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। একইসাথে নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকের দিনে বামপন্থী প্রগতিশীলদের নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলন এগোনো যাবে না। এমনকি কোন বুর্জোয়া দল বা সরকারের পক্ষে গণ অভ্যুত্থান তথা জনগণের কোন আকাঙ্খার বাস্তবায়ন সম্ভব না বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন।

আগামী ২৭ অক্টোবর নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং সারাদেশে সকল জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সফল করার জন্য সারাদেশের সকল প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গকে আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন