জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি দলগুলোকে পাঠাল ঐক্যমত কমিশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২২:২০, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর চূড়ান্ত অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে চূড়ান্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১১ সেপ্টেম্বর পাঠানো খসড়া সনদের ভিত্তিতেই এই চূড়ান্ত সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে—যেখানে কেবল ভাষাগত সংশোধন আনা হয়েছে, বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আগামী ১৭ অক্টোবর শুক্রবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এই ঐতিহাসিক দলিল প্রণয়নের অন্যতম প্রবর্তক হিসেবেও পরিচিত। অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ঐকমত্য কমিশন।
চূড়ান্ত জুলাই সনদটি তিনটি ভাগে বিভক্ত—প্রথম ভাগে সনদের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য, দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও নীতি সংশ্লিষ্ট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব এবং তৃতীয় ভাগে রয়েছে বাস্তবায়নের জন্য ৭ দফা অঙ্গীকারনামা।
সংস্কার প্রস্তাবগুলো তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত ছয়টি কমিশন—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এসব প্রস্তাব নিয়ে দেশের ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিটি দল থেকে দুজন প্রতিনিধি সই করবেন। ইতিমধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ (জাতীয় নাগরিক পার্টি) বেশ কয়েকটি দল তাদের প্রতিনিধির নাম কমিশনে জমা দিয়েছে।
সব দলই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে একমত হয়েছে। তবে গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়ে গেছে—বিশেষত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে। ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সমন্বয় করে তারা গণভোটের সময়সূচি ও প্রক্রিয়া বিষয়ে সুপারিশ পেশ করবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কারের এক নতুন যুগ সূচিত হতে যাচ্ছে।