শাপলা পেতে ফেসবুকে সরব এনসিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০১, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

নির্ধারিত তালিকা থেকে প্রতীক বেছে নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। এর মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না এলে ইসি নিজেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের এমন ঘোষণার পর থেকেই শাপলা প্রতীক পেতে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে বেশ সরব হয়ে উঠেছেন এনসিপি নেতারা। তারা শাপলা প্রতীক পেতে নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এর আগে দুপুরে আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, “এনসিপির চাহিদা হচ্ছে ‘শাপলা’। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান হচ্ছে- যেহেতু নির্বাচন কমিশনের বিধিমালায় এটা নেই, অতএব এটা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ওনাদের (এনসিপি) চিঠি দিয়েছি- আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে তারা তাদের চাহিদার প্রতীক আমাদের জানাবেন। যদি ১৯ তারিখের মধ্যে তারা (এনসিপি) এটা না জানান, তাহলে স্বীয় বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন প্রতীকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
এরপর বিকেলে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা তার ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে লেখেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।”
এরপর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজের ফেসবুক পেইজে ওই পোস্ট শেয়ার করেন।
একই সময়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে লেখেন, “এনসিপি শাপলাই পাবে।”
এর আগে এনসিপিকে তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে মার্কা বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেয় ইসি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতীক বেছে না নিয়ে বিধি সংশোধন করে ফের শাপলা বরাদ্দের দাবি জানায়। পরে মঙ্গলবার ইসি ফের এনসিপিকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন সময় বেঁধে দেয়।
পোস্টে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা লেখেন, “বিষয়টা শুধু শাপলা প্রতীক ইস্যু না। ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতা প্রমাণের। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এনসিপিকে কেন শাপলা দেওয়া হবে না, সেটা তিনি জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করবেন না।”
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেওয়া ইসির ‘মন-মর্জি’র বিষয় কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন এই এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, “আজকেও সচিব যা বললেন, তার সারমর্ম–আইনগত প্রতিবন্ধকতার ব্যাপার না, শাপলা না দেওয়া কমিশনের মন-মর্জির উপর নির্ভরশীল। আমরা এটাই বলে আসছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারবে না।’
এনসিপির এই নেতা ফেসবুকে আরও লেখেন, “কোন প্রতিষ্ঠান বেআইনি, বৈষম্যমূলক ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করতে হবে তারা কি জনগণের কাছে মুখাপেক্ষী, নাকি আপাত ক্ষমতার জন্য অপেক্ষমান কোনো রাজনৈতিক দল বা বন্দুকওয়ালা কারো মুখাপেক্ষী? জনতার মার্কা শাপলা। এনসিপির মার্কা শাপলা। শাপলা দিতে হবে।”